যাতে অতিমারির মধ্যে হাঁপানির রোগীদের ভোগান্তি না বাড়ে, তাই থাকতে হবে সাবধানে। ফাইল চিত্র
করোনার সংক্রমণ ফুসফুসের ক্ষতি করছে অনেক ক্ষেত্রেই। যাঁদের হাঁপানি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে, তাঁরা এই সংক্রমণ হলে আরও বেশি ভুগতে পারেন বলেই মত চিকিৎসকেদের। কারণ, হাঁপানি রোগীরা শ্বাস নিলে অনেক সময়ে ফুসফুসে যতেষ্ট পরিমাণ বায়ু পৌঁছয় না। ফলে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তার থেকে আরও নানা ধরনের অসুবিধা দেখা দেয়। যেমন, একটুতেই হাঁপ ধরে যাওয়া, কাশি, বুকে চাপের অনুভূতি থাকে। যাতে অতিমারির মধ্যে হাঁপানির রোগীদের ভোগান্তি না বাড়ে, তাই থাকতে হবে সাবধানে।
করোনায় সংক্রমিত হলে হাঁপানির রোগীদের অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে পারে খুব অল্প সময়ে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের রোগীরদের মধ্যে বিভিন্ন উপসর্গ একবারে দেখা দিতে পারে। সাবধান না হলে অল্প সংক্রমণেই ফুসফুসে বায়ু যাওয়ার উপায় বন্ধের পথে চলে যেতে পারে। নিউমোনিয়া কিংবা ফুসফুসের অন্য কোনও রোগ ধরে নেওয়ার আশঙ্কা থাকে। অবস্থা গুরুতর হয়ে উঠতে পারে কম সময়ের মধ্যেই। ফলে সতর্ক থাকতে হবে।
কিন্তু কী ভাবে বোঝা সম্ভব যে, হাঁপানির রোগীর শ্বাসের অসুবিধা হচ্ছে পুরনো রোগের কারণে নাকি তা সংক্রমণের জের? চিকিৎসকেরা বলছেন, তা বোঝা সহজ নয়। কারণ, অনেকেই সংক্রমিত হলে জ্বার-কাশির আগেই শুরু হয়ে যাচ্ছে শ্বাসের অসুবিধা। ফলে বাড়িতে ইনহেলার রাখা জরুরি। একটু অসুবিধা হলেই সঙ্গে সঙ্গে তা ব্যবহার করতে হবে।
এ ছাড়াও আরও কয়েকটি জিনিস খেয়াল করে করা জরুরি। যেমন যত দ্রুত সম্ভব প্রতিষেধক নিতে হবে। তার পরে সংক্রমিত হলেও সঙ্কটজনক পরিস্থিতি এড়িয়ে যাওয়া যাবে। করোনা না হলেও দিনে একবার করে অক্সিজেনের মাত্রা দেখে নেওয়া জরুরি।
আর বেশ কিছু জিনিস না করা দরকার। যেমন ধূমপান একেবারেই করা যাবে না। হাঁপানির রোগীরা এ সময়ে বাড়ি থেকে না বেরোলেই ভাল। খুব প্রয়োজনে বেরোলেও পরতে হবে দু’টো মাস্ক। উদ্বিগ্ন হওয়া একেবারেই চলবে না। উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে শ্বাসের কষ্ট।
খাওয়াদাওয়া করতে হবে নিয়ম মেনে। প্রোটিন আর ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া জরুরি। আর দিনে দু’বার করে গরম জলের ভাপ নিতে হবে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ