FOODS

ঘন ঘন অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যা? সামলে ফেলুন এ সব উপায়ে

পুজোর পরেই তো খুলে গেল অফিস। কিন্তু পেট সায় দিচ্ছে না? জেনে নিন কী ভাবে রাখবেন খেয়াল?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৫৩
Share:

সুস্থ থাকতে রাশ টানুন খাওয়াদাওয়ার অনিয়মে। ছবি: শাটারস্টক।

উৎসবের মরসুমে সবে দুর্গা পুজো মিটলেও এর পর লক্ষ্মী পুজো, কালী পুজো, ভাইফোঁটা, জগদ্ধাত্রী হয়ে একেবারে নতুন বছরে গিয়ে সেই আমেজ খানিক ফিকে হয়। উৎসবের মরসুম থেকে শুরু করে টানা শীতকাল বেড়ানো আর খাওয়াদাওয়ার উপরে প্রায় কোনও রকম নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পেটের স্বাস্থ্য তাই একটানা ব্যাহত হতে থাকে।

Advertisement

তাই দুর্গা পুজো কাটলেই পেটের স্বাস্থ্যের উপর নজর দিতে বলেন চিকিৎসকরা। কারও কারও অফিস খুলে গিয়েছে দশমীর পরেই। কারও বা লক্ষ্মীপুজোর পর খুলেছে, তো কারও আবার নভেম্বরের পেরিয়ে খুলবে কাজের জায়গা। বড় উৎসব কাটিয়ে প্রতি দিনের রুটিনে ফিরতে চাইলে রাশ টানতে হবে খাওয়াদাওয়ায়। নিয়মেও আনতে হবে বাঁধুনি।

উৎসবের রেশ যেহেতু থেকেই যায়, তাই এখন থেকেই সচেতন হোন। কালী পুজো, ভাইফোঁটার সময় ফের খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হলেও মাঝের ক’দিন ও পরেও চলুন নিয়ম মেনে। বদহজমের সমস্যা রুখতে ও পেটতে সুস্থ রাখতে তাই নজর দিন বিশেষ কয়েকটি দিকে।

Advertisement

আরও পড়ুন: পুজোয় অনিয়মে ওজন বেড়েছে? মেদ ঝরাতে পাতে নিন এই অব্যর্থ খাবার

পুজোয় রাত জেগে ঠাকুর দেখার মাঝে বা সকালের ব্যস্ততা, আড্ডায় খেয়াল থাকে না খাওয়ার সময় কোথা থেকে বয়ে যাচ্ছে। এ বার থেকে চেষ্টা করুন প্রতি দিন একই সময়ে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনার করার। অল্প খান, বারে বারে খান। খাবারের মাঝে মোটামুটি তিন-চার ঘণ্টা সময়ের ব্যবধান রাখলে খাবার হজম হবে সহজে। লুচির সঙ্গে মাটন কষা কিংবা পোলাওয়ের সঙ্গে পাবদা, পাতুরি তো কম হল না! এ বার কানিক সামলে। বিশেষ করে মাটন রসনাতৃপ্ত করলেও বুকপকেট ও বুক কোনওটার জন্যই বিশেষ সুবিধার নয়। দামী যেমন, তেমনই হার্টের জন্যও ক্ষতিকর। কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের পক্ষে কিন্তু খুব একটা সুবিধার নয়। তাই এ বার খাবার তালিকায় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে আস্থা রাখুন চিকেনে। চিকেনের মশলাদের ঝোল বা কষা ছেড়ে সবজি দেওয়া স্টু বা স্যুপই থাকুক পাতে। তবে রোজ চিকেন না খেতে চাইলে প্রোটিনের জোগান মেটাতে ভরসা রাখুন সিদ্ধ ডিমে। চিজ মেশানো অমলেট বা তেলে ভাজা পোচ এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন: বাড়তি মেদ ঝরাতে চান? জোর দিন ফুসফুসের এ সব কার্যকারিতার উপর

চর্বিযুক্ত মাছ বা চালানি মাছ বাদ দিয়ে সামুদ্রিক কিছু মাছ, চারা মাছের ঝোল দিয়েও মাঝে মাঝে খাওয়া সারুন। এতে শরীরের কোলেস্টরলের মাত্রাও বজায় থাকবে। চা-কফি ছেড়ে এই ক’দিন গ্রিন টি-তে ভরসা রাখুন। মেটাবলিজম বাড়িয়ে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে গ্রিন টি। মাঝেমধ্যে ডায়েট তালিকায় থাকুক ডাবের জলও। প্রতি দিন সকালে খালি পেটে উষ্ণ জলে লেবুর রস মিশিয়ে খান। এতে শরীরের টক্সিন যেমন সরবে, তেমনই শরীরে জলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীরকে আগের অবস্থায় ফেরাতে ও হজমশক্তি বাড়াতে পর্তি দিন টক দই থাকুক খাবার শেষে। অফিসে গেলে সঙ্গে রাখুন গোটা ফল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement