হৃদরোগ এড়াতে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ছবি: শাটারস্টক।
হৃদরোগের ভয় কম-বেশি সকলকেই তাড়া করে বেড়ায়। ব্যস্ত জীবনযাত্রা, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, সময়ের অভাবে শরীরচর্চায় ফাঁকি— নানা কারণেই হৃদরোগের আক্রমণ ধেয়ে আসতে পারে যখন-তখন।
অনেকেরই ধারণা, স্রেফ সুষ্ঠু ডায়েট আর শরীরচর্চা দিয়েই এই সমস্যাকে দূর করা যায়। আদপে বিষয়টা তেমন নয়। আসলে আমাদের নানা ভুল সিদ্ধান্ত ও অজ্ঞতা এই অসুখের মূল কারণ। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকুণাল সরকার জানালেনএমন কিছু সাবধানতার কথা,যা মেনে চললেসহজেই এই অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব।
তাঁর মতে, ভারতীয় জীবনযাত্রার প্রভাবে প্রায় ৩৫ শতাংশ মানুষই ডায়াবেটিক, হৃদরোগকে টেনে আনতে যার জুড়ি নেই। প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ হাইপারটেনশনের শিকার, হাইপারটেনশনও এই অসুখের অন্যতম কারণ।এ সব তো নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে, প্রয়োজনে নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে এ সব অসুখের জন্য ওষুধ ও সাবধানতা অবলম্বন করুন। এ ছাড়াও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। দেখে নিন সে সব কী কী।
আরও পড়ুন: রোগা হতে চেয়েই কি বাড়িয়ে ফেলছেন ওজন? কোথায় হচ্ছে ভুল?
মনে ঈর্ষা থাকাটা শরীরের জন্যও ভীষণ বিপজ্জনক! জানেন কী?
লো কার্বস ডায়েট: কুণালবাবুর মতে, বাঙালির খাওয়া মানেই ভাত-রুটি দিয়ে পেট ভরানো— এমন স্বভাব বদলে প্রোটিন বেশি, ফলমূল-সব্জি ঠাসা একটা ডায়েটে অভ্যস্ত হয়ে উঠুন। চিনিও এড়িয়ে চলুন যতটা সম্ভব। হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে এর চেয়ে ভাল আর কিছু নেই।
ধূমপানে না: আধুনিক জীবনে আজকাল সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এই স্বভাব না বদলালে হৃদরোগের সম্ভাবনাও কোনও দিন এড়ানো যাবে না।
শরীরচর্চা: ব্যায়ামে সময় দিতে না পারলেও নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করুন।লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার করুন।হার্টে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালনের জন্য এই উপায় অত্যন্ত কার্যকর।
নিয়মিত চেক আপ: হার্টে সমস্যা না থাকলেও তিন মাসে একবার চেক আপ করান। দেখে নিন কোথাও কোনও গোলযোগ আসছে কি না। যাঁদের হার্টের অসুখ আছে তাঁরা চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার দিন অকারণে মিস করবেন না।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা মূলত এই বিষয়গুলির উপর জোর দিলেওবাড়তি সতর্কতার জন্য মাথায় রাখতে পারেন আরও কিছু টিপস।
নুন কম: রোজ খাবারে নুনের পরিমাণ কমিয়ে দিন।এর পাশাপাশি আপনার জাঙ্ক ফুড খাওয়াও বন্ধ করুন। ঠান্ডা পানীয়তে অ্যাডেড সুগার থাকে। তাই এড়িয়ে চলুন ও সব।
যৌন জীবন: সুস্থ যৌনজীবন হার্ট ভাল রাখে।এতে শরীর থেকে প্রচুর হরমোন নিঃসৃত হয়, ফলে মানসিক চাপ কমে। হার্টকে তাজা রাখে।
ডার্ক চকোলেট: ডার্ক চকোলেটের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং ফ্ল্যাভোনয়েড হার্টকে ভাল রাখে। তবে যথেচ্ছ ডার্ক চকোলেট শরীরের জন্য ক্ষতিকর। প্রতি দিন নিয়ম করে রাতে খাবার খাওয়ার পর এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খান, এতে উপকার পাবেন।