আদা-জলের উপকার কেবল প্রবাদে নয়, জীবনেও বেশ কার্যকর। ছবি: আইস্টক।
‘আদা-জল খেয়ে লেগে পড়া’-র প্রয়োজন বাঙালির আজও পড়ে। এই পানীয়র ব্যবহার ও বঙ্গজীবনে ভূমিকা এতটাই যে, প্রবাদেও ঠাঁই পেয়েছে আদা-জলের গুণ। শিরে সংক্রান্তি মানেই বাঙালির আদা-জল খেয়ে লেগে পড়ার সময়। কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি, এই আদাজলের আদৌ কোনও গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না!
ঘরোয়া নানা শুশ্রূষায় আদার ভূমিকার কথা কমবেশি সকলেই জানেন। কিন্তু এই আদার সঙ্গে জল যোগ করে বাঙালির প্রবাদ কি স্রেফ কথার কথা? না কি এর মধ্যেও নিহিত আছে সুস্থ থেকে জীবনে কার্যসিদ্ধির বড় পাঠ?
ঠান্ডা লাগার দাওয়াই থেকে হজম সমস্যাকে কব্জা করা— আদার নানা ব্যবহারিক প্রয়োগ বাঙালির ঘরোয়া উপায়ে রয়েছে। তবে এই আদার সঙ্গে জল যোগ করলে কী কী উপকার পেতে পারেন রইল তারই হদিশ।
আরও পড়ুন: মিডলাইফ ক্রাইসিসে ভুগছেন? সমাধান রয়েছে সহজ দশ উপায়ে
বদহজমে কেবল আদা নয়, আদা দিয়ে ফোটানো জলও খুব উপকারী। যে কোনও কাজ ভাল ভাবে সম্পন্ন করতে গেলে আদা-জলের যে প্রয়োগ বাংলা প্রবাদে রয়ছে, তা অনেকটাই এই কারণে। আদা-জল খাবারকে সহজপাচ্য করে হজমশক্তি বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ করে তোলে। সামান্য অনিয়ম হলে তার সঙ্গে লড়ার শক্তি দেয়। জিম সেরে এসে বা শরীরচর্চা, অতিরিক্ত শ্রমের পর পেশীতে টান বা ব্যথা হলে আদা ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে খান। দিন কয়েক খাওয়ার পর পেশীতে ব্যথার এই প্রবণতা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। ঠান্ডা লেগে গলা ভেঙে গেলে, কাশিতে গলা খুশখুশ করলে আদা কুচিয়ে জলে ফেলে দিন। ঈষদুষ্ণ সেই জল পান করুন দিনে দু’-তিন বার। ঠান্ডাজনিত প্রদাহ কমিয়ে গলাকে আরাম দিতে সিদ্ধহস্ত আদা-জল। শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে আদা-জল গ্রিন টি-র মতোই কার্যকর।
আরও পড়ুন: পায়ের কড়া খুব জ্বালাচ্ছে? এ সব ঘরোয়া উপায়ে জব্দ করুন সমস্যা
জলে আদা, মধু ও লেবু মিশিয়ে খেলে মেদ ঝরে দ্রুত। ছবি: আইস্টক।
সারা দিন এনার্জি ধরে রাখতে সকালে চা না খেয়ে গরম জলে আদা ও মধু মিশিয়ে খান। উপকার টের পাবেন। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতেও আদার ভূমিকা আছে বইকি। জলে আদা, মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন। কিংবা আগের দিন রাতে জিরে ও আদার কুচি জলে মিশিয়ে রেখে, পরের দিন সকালে সেই জল ছেঁকে ফুটিয়ে খান। মেদ ঝরে শরীর টোন্ড হবে তাড়াতাড়ি।