হিটস্ট্রোক ঠেকাতে সচেতনতার বিশেষ প্রয়োজন। ছবি: শাটারস্টক।
এপ্রিল মাস পড়তেই সূর্যের প্রখর তাপের দাপটে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কোনও রকমে ছাতা বা ওড়নার আবরণে ঢেকে রোজনামচার জন্য বাড়ি থেকে বেরতেই হয়। আর এই রোদ লাগার কারণেই জাঁকিয়ে বসতে থাকে একের পরে এক রোগ।
এদের মধ্যে অন্যতম হল হিটস্ট্রোক বা সানস্ট্রোক। কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, হিটস্ট্রোক ঠেকাতে সচেতনতার বিশেষ প্রয়োজন। শরীরকে কেবল সুস্থ রাখার পাঠ জানলেই হবে না, সানস্ট্রোকের সম্ভাবনা বুঝে সাবধান হতে পারাটাও সমান জরুরি।
তাই আগে জেনে নেওয়া দরকার, কাঠফাটা রোদে বেরিয়ে কোন উপসর্গগুলি দেখলে বুঝবেন আপনি হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আপনার ও সঙ্গীর সম্পর্কের ভবিষ্যৎ কী, এই পাঁচ লক্ষণই বলে দিতে পারে
রোদে বেরিয়ে যদি দেখেন শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ অনেকটা বেড়ে গিয়েছে, তা হলে সর্তক থাকুন। সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় যান। রোদ এড়ানোর চেষ্টা করুন। এটাই কিন্তু সানস্ট্রোকের প্রাথমিক লক্ষণ। যদি দেখেন কাঠফাটা রোদে হঠাৎ মাথা ঘুরছে, তা হলে সাবধান হওয়া ভাল। অনেকেরই বমি হয়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরার্মশ নিন। যদি কখনও মনে হয়, দেহের পেশী অবশ হয়ে যাচ্ছে অথবা শক্তি হারিয়ে ফেলছেন, তা হলে সাবধান থাকুন। সাধারণত সানস্ট্রোক হলে প্রচণ্ড পরিমাণে ঘাম হয়। আবার অনেকের উল্টো নিয়মে ঘাম না-ও হতে পারে। তাই বাকি উপসর্গগুলির দিকে নজর দিন।
আরও পড়ুন: আপনার এই অভ্যাস ডেকে আনতে পারে অন্ধত্ব, এখনই সাবধান হোন
সানস্ট্রোক হলে অনেক সময়ে ত্বক লাল হয়ে যায়। যদিও সেটা সাময়িক। এ ছাড়াও চামড়ায় টান ধরে। তাই এমন লক্ষণ দেখলেও সাবধান হোন। রোদে বেরিয়ে হঠাৎ করে যদি দেখেন খুব দ্রুত হৃদস্পন্দন চলছে, তা হলে বুঝবেন আপনি সানস্ট্রোকের শিকার হতে পারেন। হঠাৎ করে চোখের সামনে সব আবছা দেখলে বা অন্ধকার দেখলে সাবধান হয়ে যান। অনেকে রোদে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে ভেবে ভুল করেন। তাই সতর্ক থাকুন।
অমিত ঘোষের মতে, গরমে এই সমস্যা হয়েই থাকে। উচ্চ রক্তচাপ যাঁদের, তাঁদের বিশেষে করে রোদ এড়িয়ে চলা উচিত। এ ছাড়া হালকা রঙের ঢিলে পোশাক পরুন। জলের বোতল, ছাতা ও রোদচশমা সঙ্গে অবশ্যই রাখুন। যত পারুন হালকা ও তেল-মশলা ছাড়া খাবার খান। এমন খাবার খান যাতে হাইড্রেটেড থাকেন।