সঙ্গীর মন পড়ুন, আও এক বার নতুন করে। ছবি: শাটারস্টক।
‘‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথা ধরা পড়ে কে জানে’’, আবার এই প্রেমের ঘেরাটোপ থেকে কে কখন বেরিয়ে পড়ে তা বোঝাও ভারি মুশকিল। তবে প্রেম যে খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে তা কিন্তু টের পাওয়া যায়। কিন্তু তবুও মন বলে ওঠে ‘যেতে নাহি দিব’। তবু ব্রেক আপের ধাক্কা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেশ সুদূরপ্রসারী হয়। কিন্তু অসম্ভব কিছুই না। তাই সম্পর্ক খাদের ধারে দাঁড়িয়ে পড়লেও তাকে সযত্নে হাত ধরে নিরাপদ স্থানে দাঁড় করানোর উপায়ও আছে।
প্রথমত সম্পর্কটা মেরামত করার আগে নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করুন। নিজেকে প্রশ্ন করে তার সঠিক উত্তর খুঁজে বার করতে পারলেই সমস্যার অনেকটা সমাধান হয়ে যায়। তাই ভেবে দেখুন, সত্যিই কি এই সম্পর্কটা আপনার কাছে আগের জায়গাতেই আছে? না কি, সত্যিই সেটা ভেঙে দেওয়ার সময় এসেছে? এ প্রশ্নের উত্তর আপনাকেই দিতে হবে। ভাল করে ভেবে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। যদি সত্যিই আপনার সম্পর্ক আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে আর কোনও রকমের আনন্দ না দেয়, তার মানে সেই সম্পর্ক এ বার সত্যিই শেষ হওয়া দরকার।
কিন্তু যদি পুরনো উষ্ণতা সম্পর্কে আজও ফিরিয়ে আনতে চান, তা হলে কয়েকটি কাজ করতে পারেন। ভাঙতে তো বেশি সময় লাগে না। তাই যেটা এত কষ্ট করে গড়েছিলেন সেটার জন্য না হয় শেষ এক বার চেষ্টা করেই দেখলেন!
আরও পড়ুন: একের পরে এক আম খাচ্ছেন! কী ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?
সঙ্গীর অভিমান হলে তা ভাঙানোর দায়িত্বও আপনারই।
সঙ্গীর প্রতি যদি টান থাকে তা হলে তার ভাল লাগা, খারাপ লাগা এগুলোও কিন্তু আপনার কাছে গুরুত্ব পাবে। অর্থাৎ প্রতি দিনের জীবনে, পেশাগত বা পারিবারিক নানা সমস্যায় সে যখন জর্জরিত হবে, তখন তার মন এবং মেজাজ ঠিক করার দায়িত্বও কিছুটা আপনাকেই নিতে হবে। সম্পর্কে সমস্যা তৈরি হয় অতিরিক্ত আশা থেকে। তাই মাথায় রাখুন সবাই সব কিছু পারবে না। তাই প্রথমে নিজেকেই বোঝাতে হবে যে আপনার সঙ্গী আপনার সমস্ত আশাপূরণ করতে পারবেন না। ঠিক যেমন আপনিও তাঁর সমস্ত আশা পূরণ করতে সক্ষম হবেন না। তবে চেষ্টা করুন মূল চাহিদাগুলো পূরণ করতে। সম্পর্কে শারীরিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রেমের সম্পর্ককে এর থেকে আলাদা করে রাখা যায় না। তাই প্রেমের প্রথম হাত ধরা বা প্রথম চুমুর অনুভূতিকে আবার জাগিয়ে তুলতে হবে। রসায়ন ফিরে এলে খাদের ধার থেকে ফিরিয়ে আনা যাবে এই সম্পর্ককে। সঙ্গীর সঙ্গে সব ব্যাপারে সমানে সমানে পাল্লা দিতে চেষ্টা না করাই ভাল। দেখা গিয়েছে যে সেই সমস্ত সম্পর্কগুলি সবচেয়ে সফল, যেখানে একজন যে বিষয়ে পারদর্শী, অন্য জন সেই বিষয়ে একেবারেই নভিশ। অর্থাৎ দু’জন দু’জনের পরিপূরক হয়ে ওঠাই আসল কথা। যাঁর যেটা অভাব, সেটা পূরণ করবেন অন্য জন।
আরও পড়ুন: গরমে হাঁসফাঁস? এই সব উপায়ে রোদেও থাকুন তরতাজা
প্রথম থেকেই খেয়াল রাখুন আপনার প্রেম যদি দীর্ঘকালীন হয় তাহলে অবশ্যই যেন অজ্ঞাতসারে যাতে কোনও সমস্যা আপনাদের সম্পর্কে ফাটল তৈরি করতে না পারে। এ ব্যাপারে সচেতন থাকুন। শুরুতেই যদি সেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, তবে অনায়াসেই তা থেকে বড় অঘটনের সম্ভাবনাকে এড়িয়ে যাওয়া যায়। ব্যস্ততার যুগে অধিকাংশ সম্পর্ক ভেঙে যায় সময়ের অভাবে। একসঙ্গে সময় মেলে না। সময় কাটানো হয় না। জমতে থাকে অভিমান। সেই অভিমানও বলার বা শোনার কোনও সময় নেই। কান্না পেলে কাঁদারও অবকাশ নেই। বালিশে মুখ গুঁজে রাতে কাঁদতে গেলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পরের দিন সকালে বসের চোখ রাঙানি। অগত্যা স্বাভাবিক থাকার প্রাণপন চেষ্টা। তাই একটু সময় বার করে কোথাও যান, ঘুরে আসুন। পরিষ্কার করে নিন জমে থাকা মান অভিমান।