ব্যক্তিগত পছন্দের উপর ভিত্তি করেই মূলত ইফতারের আয়োজন হয়ে থাকে। ছবি: সংগৃহীত
চলছে রমজান মাস। এই মাসে সারা দিন উপবাস বা রোজা রাখার পরে ইসলাম ধর্মালম্বী মানুষজন সূর্যাস্তের পরে যে খাবার খান, তাকেই বলে ইফতার। খেজুর, নানা রকম ফলের সম্ভার, অঙ্কুরিত ছোলা, হরেক রকম পকোড়া, স্যালাড, শরবত এবং আরও বিভিন্ন খাবার খেয়ে রোজা ভাঙা হয়। তবে ভৌগলিক অবস্থান ভেদে বিভিন্ন দেশে ইফতারের আয়োজন ভিন্ন। ব্যক্তিগত পছন্দের উপর ভিত্তি করেই মূলত ইফতারের আয়োজন হয়ে থাকে। আমিষ এবং নিরামিষ— দু ধরনের খাবারই থাকতে পারে।
দক্ষিণ ভারতের হায়দ্রাবাদে যেমন অধিকাংশ মানুষ রোজা ভাঙেন হালিম দিয়ে। হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানিও থাকে মাঝেমাঝে। এ ছাড়াও সঙ্গে থাকে আপ্পাম, মেদু ব়ড়া, রসম, তামিলনাড়ু এবং কেরলের বিস্তৃত অঞ্চলের মানুষেরা রোজা ভাঙেন ‘নম্বু কাঞ্জি’ নামে এক ধরনের খাবার খেয়ে। মাংস এবং শাকসব্জি দিয়ে এই বিশেষ পদটি তৈরি হয়। এটি রান্না করতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে।
উত্তর ভারতে ইফতারের ছবিটা খানিক আলাদা। ভারী কোনও খাবারের বদলে বিভিন্ন রকম মুখরোচক ভাজাভুজি, ফল, ফলের চাট, পকোড়া, রাঙা আলুর চাটসিঙারার মতো খাবার খেয়ে রোজা ভাঙেন উত্তরের মানুষ। পূর্ব ভারতে ইফতারের আয়োজনে মাছের বেশ কয়েকটি পদ থাকে। মোঘলাই কায়দায় যে ভাবে মাংস রান্না করা হয়, একই উপকরণ ও প্রণালীতে তৈরি মাছের বিভিন্ন পদ দিয়েই রোজা ভাঙা হয়।