সাধারণ কয়েকটি ভুলে রান্নাঘর হয়ে উঠতে পারে অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর। —প্রতীকী ছবি।
রান্নাঘর সুন্দর করে টাইলস বসানো। মেঝেতে সুদৃশ্য মার্বেল। অথচ সেখানে ঢুকলেই ভ্যাপসা গন্ধ লাগে? কোন ভুলে এমনটা হতে পারে জানেন কী!
১ . বাইরে থেকে ঢাকা থাকলেও, তাকের ভিতের রাখা বাসনকোসন, জিনিসপত্র পরিষ্কার না করলে সেখানে ভ্যাপসা গন্ধ হতে পারে। অনেক সময় কাঠের পাল্লা বা আধুনিক রান্নাঘরের সৌখিন কাঠের ড্রয়ারের ফাঁকফোকড় দিয়েও ভিতরে আরশোলা ঢুকতে পারে। তাই রোজ না হলেও দু’তিন অন্তর তাক বা ড্রয়ারগুলি পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
২. রান্নাঘরে নোংরা সবচেয়ে বেশি হয়। তেল-কালিতে চিটচিটে হয়ে যায় দ্রুত। চিমনি থাকলেও, তেল চিটে হয়ে থাকে অনেক রান্নাঘর। এর কারণ হতে পারে রান্নার পর গ্যাস বা তার আশপাশ পরিষ্কার করলেও টাইলস গুলি মোছেন না অনেকে। তেল জমতে জমতে সেখানে স্তর পড়ে যায়। পাশাপাশি রান্নার সময় বা আনাজ কাটার সময় দ্রুত সেই জায়গাটি পরিচ্ছন্ন করার অভ্যাস রান্নাঘর ঝকঝকে রাখতে সাহায্য করে।
৩. প্রয়োজনের জিনিস ব্যবহার করতে হবে। অনেকেই ছেঁড়া কাপড় দিয়ে রান্নাঘর পরিষ্কার করেন। অনেক সময় সেই কাপড় তেলচিটে হয়ে গেলেও তা দিয়েও দেখা যায়, মুছে দেওয়া হচ্ছে কোনও জায়গা। এটা অস্বাস্থ্যকর। বদলে রান্নাঘর পরিষ্কারের সঠিক জিনিসপত্র ব্যবহার করলে, সুবিধা হবে। মাইক্রোফাইবার কাপড়, সঠিক স্পঞ্জ থাকলে রান্নঘর পরিচ্ছন্ন রাখতে সুবিধা হবে। মোছামুছির সময় কেবল জল দিয়ে না মুছে যদি সাবান জল ব্যবহার করা হয় বা সুগন্ধী তরল-- তাতে ভ্যাপসা, বাজে গন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
৪. বাসন-কোসন, চাল-ডাল, আনাজ সব্জি, যে জায়গায় রাখা দরকার সেই জায়গায় সঠিক ভাবে না রাখলে, রান্নাঘর দেখতে অগোছালো লাগবে। তার উপর সঠিক কৌটোয় ঠিক ভাবে না রাখলে ডাল থেকে জিনিসপত্রে পোকা ধরে যেতে পারে। পিঁপড়ে হতে পারে।
৫. রান্নাঘরের প্রতিটি জিনিস যেমন মাইক্রোওয়েভ অভেন, মিক্সার গ্রাইন্ডার, ফ্রিজ সমস্ত কিছুই কিন্তু নিয়মিত পরিষ্কার করা দরকার। পরিচ্ছন্নতার অভাবে রান্নাঘর যেমন অস্বাস্থ্যকর হতে পারে, তেমন খাদ্যদ্রব্য সংক্রামিত হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি প্রতি দিনের আবর্জনাও পরিষ্কার করা দরকার। রান্নাঘরে খাবার, আনাজের খোসা জমিয়ে রাখলে দুর্গন্ধ হবেই, পাশাপাশি পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠবে।