Sleeplessness

মাঝে মধ্যেই রাত জাগেন? বিপদ এড়াতে এই নিয়মগুলো মেনে চলুন

রাতের পর রাত জাগতে হলে বিপদ আসে নানা দিক থেকে৷ সারা দিন আঠার মতো লেগে থাকে ঘুম, শরীর খারাপ হয়, খারাপ হয় মেজাজ, কাজের মান৷ ব্যায়ামের ইচ্ছে থাকে না বলে ওজন বাড়তে পারে৷

Advertisement

সুজাতা মুখোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৯
Share:

রাত জাগলে নিয়ম মেনে। ছবি : শাটারস্টক

মাঝেমধ্যে দু–চার রাত জাগা কোনও বড় ব্যাপার নয়। তেমন কোনও ক্ষতি হয় না তাতে। একটু ঘুমঘুম ভাব থাকে, মেজাজ খারাপ লাগে, কাজের টুকটাক ক্ষতি হয়, ব্যাস। কিন্তু রাতের পর রাত জাগতে হলে বিপদ আসে নানা দিক থেকে। সারা দিন আঠার মতো লেগে থাকে ঘুম, শরীর খারাপ হয়, খারাপ হয় মেজাজ, কাজের মান। ব্যায়ামের ইচ্ছে থাকে না বলে ওজন বাড়তে পারে। তার উপর রাত জাগার অনুপান হিসেবে এটা–সেটা খেলে তো কথাই নেই। ক্রনিক অসুখ–বিসুখ থাকলে বা বয়স বেশি হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে বা অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

Advertisement

বিপদ আছে আরও। বেশি দিন ধরে রাত জাগতে জাগতে এক সময় ঘুমের ছন্দে পরিবর্তন চলে আসে। নতুন করে তাকে রুটিনে ফিরিয়ে আনা তখন বেশ কঠিন কাজ।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘মাঝেমধ্যে কিছু দিনের জন্য রাত জাগতে হলে ক্ষতির পরিমাণ কমাতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা দরকার। যাঁদের শিফটিং ডিউটি, তাঁদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।’’

Advertisement

আরও পড়ুন : সৌরভ: কী হয়েছিল, কেন হয়েছিল

রাত জাগার নিয়ম

রাত জাগলে একটু পেটের গোলমাল হতে পারে। সে বিপদ এড়াতে কম তেল–মশলায় রান্না করা ঘরোয়া খাবার, পেট একটু খালি রেখে খান। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ এড়াতে খান ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার। রাত জাগার সঙ্গী হিসেবে মদ ও ভাজাভুজিকে বেছে নিলে হ্যাং ওভার, অম্বল, বদহজম বাড়তে পারে। শরীর খারাপ হতে পারে। বাড়তে পারে ওজন। তার হাত ধরে দেখা দিতে পারে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ জাতীয় অসুখ। কাজেই এ রকম করবেন না। রাত জেগে পড়া বা টার্গেট পূরণের চাপে কিংবা খেলা দেখার উৎসাহে রোজকার ওষুধ খেতে ভুলে গেলে বিপদ। কাজেই এ দিকে খেয়াল রাখুন। যে কারণে রাত জাগছেন, তা শেষ হওয়ামাত্র শুয়ে পড়ুন। তার আগে খোলা হাওয়ায় একটু হেঁটে নিতে পারেন। হয় বেলা করে উঠে ঘুমের পরিমাণ পূরণ করে নিন, নয়তো দুপুরে একটু বিশ্রাম নিন। ‘‘দিনের বেলা মিষ্টি খেয়ে কম ঘুমের ক্লান্তি কমাতে গেলে খানিকক্ষণের মধ্যে তা দ্বিগুণ হয়ে ফিরে আসতে পারে। দিনের পর দিন এ রকম চললে ওজনও বেড়ে যেতে পারে। কাজেই টুকটাক খাওয়ার ইচ্ছে হলে অল্প করে শুকনো ফল, বাদাম বা এক–আধবার টাটকা ফলের রস খান। ক্লান্তি কমাতে ও পুষ্টি যোগাতে এদের ভূমিকা বিরাট।’’ জানালেন পুষ্টিবিদ সুজাতা মুখোপাধ্যায়। মাঝেমধ্যে এক–আধ দিন বেশি ঘুমিয়ে নিন। না হলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। মৃগী থাকলে তো বিশেষ করে। নিজে গাড়ি চালালে তো বিশেষ করে। ঘুম কম হলে দুশ্চিন্তাপ্রবণ মানুষেরা একটু খিটখিটে হয়ে পড়েন। সেক্ষেত্রে কথা–কম বলুন, যাতে বদমেজাজের বহিঃপ্রকাশে সম্পর্ক ও কাজ নষ্ট না হয়। দিনের পর দিন সময় পার করে ঘুমোলে, ঘুমের ছন্দ বদলে যেতে পারে। ঘুমের সমস্যা হতে পারে। তা সামলাতে ঘুমের ওষুধ খাবেন না। ধীরে ধীরে রুটিনে ফিরে আসুন। হালকা খাবার খান। ব্যায়াম করুন। কিছু দিনেই ঝামেলা মিটে যাবে।

আরও পড়ুন : ডাবল ভিশনের সমস্যায় ভয় পাবেন না

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement