মানসিক চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে ঘুমের মধ্যে কথা বলার অভ্যাস ছবি: সংগৃহীত
অনেকেই ঘুমের মধ্যে কথা বলেন। আপাত ভাবে এটি কোনও সমস্যা নয়। কিন্তু এই অভ্যাসের আড়ালে লুকিয়ে থাকে নানা রকম বিপদের আশঙ্কা।
বহু কারণেই ঘুমের মধ্যে কথা বলেন অনেকে। কী কী কারণ থাকতে পারে এর পিছনে?
• দীর্ঘ শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনেকে ঘুমের মধ্যে কথা বলেন। অনেক সময়েই এই অসুস্থতা বাইরে থেকে টের পাওয়া যায় না। কিন্তু চিকিৎসককে বিষয়টি জানালে তিনি প্রকৃত কারণ বলতে পারেন।
• কোনও কারণে মানসিক চাপে ভুগছেন? তার প্রভাবও পড়তে পারে ঘুমের উপর। ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়তে পারে এর ফলে।
• পর্যাপ্ত ঘুম না হলে অনেকের এই সমস্যা দেখা দেয়। ঘুমের মধ্যে কথা বলেন তাঁরা।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
কিন্তু এই অভ্যাস কিছুটা কমানো যায়। কী ভাবে? রইল তালিকা।
• রোজ নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যেতে হবে, ঘুম থেকে উঠতেও হবে নির্দিষ্ট সময়ে। তা হলে এই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
• প্রাপ্ত বয়স্কদের রোজ সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম খুব দরকারি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোলে এই অভ্যাস আস্তে আস্তে কেটে যায়।
• রোজ কিছুটা সময় শরীরচর্চা করলেও এই সমস্যা কমতে পারে।
ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্মার্টফোন ব্যবহার করলে ঘুম গভীর হয় না।
• রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভারী খাবার খেলেও এই সমস্যা হয়। সেটিও কমাতে পারলে ভাল। হাল্কা খাবার খেলে ঘুমের মধ্যে কথা বলার সমস্যা কমে।
• সন্ধ্যার পরে চা বা কফি জাতীয় পানীয় খেলে গভীর ঘুম হয় না। তাতে ঘুমের মধ্যে কথা বলার প্রবণতা বাড়ে।
• ঘুমোতে যাওয়ার আগে কী স্মার্টফোন ঘাঁটেন? এটিও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত আধ ঘণ্টা আগে স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করুন। এই অভ্যাস কমবে।