বিনা মেকআপে আলিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
মেকআপ ছাড়া ক্যামেরার সামনে আসতে ভয় পান না তিনি। কখনও ‘হাইওয়ে’, কখনও ‘রাজি’ আবার কখনও নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে— আলিয়া ভট্টকে বিনা মেকআপে দেখা গিয়েছে অনেক জায়গাতেই। তাঁর উজ্জ্বল ত্বকের আলো মন ভাল করে দেওয়ার মতো। তেমন ত্বক পাওয়াটা কিছুটা জিনগত তো বটেই। কিন্তু শুধু তাই নয়। স্বাস্থ্যকর ডায়েট, শরীরচর্চা এবং নিয়মিত ত্বকের যত্নের অবদানও অনেকটাই।
আপনার ত্বকেও এমন তারুণ্যের ছোঁওয়া পেতে চান? স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন প্রথম ধাপ। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া, ফল-শাক-সব্জি রোজকার খাবারে যোগ করা এবং নিয়মিত শরীরচর্চা আপনার ত্বক ভিতর থেকে ঝকঝকে করে তুলবে। তা ছাড়াও প্রয়োজন ত্বকের যত্ন। কিন্তু তার জন্য খুব বেশি কাঠখড় পোড়াতে হবে না। রইল কিছু সহজ উপায়।
বরফ
দাম দিয়ে নানা রকম প্রসাধনী না কিনে গালে বরফ ঘষুন। রক্ত চলাচল ভাল করে মুখে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়বে। তাতে ত্বকে ভিটামিনের পরিমাণও বাড়বে। চোখের নীচে কালি বা মুখে ফোলা ভাব কমায়। বলিরেখা কম হবে এবং অ্যাকনের সমস্যাও অনেকটা কমে যাবে। তবে সরাসরি মুখে বরফ না দিয়ে একটা পাতলা কাপড়ে মুড়ে গালে বরফ ঘষুন।
মুলতানি মাটি
মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার রাখতে দারুণ কাজ করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের। ত্বকের যাবতীয় ধুলো ময়লা টেনে বার করে আরও উজ্জ্বল করে তোলে মুলতানি মাটি। গোলাপ জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। ত্বকের কালচে দাগ-ছোপও মুছে ফেলবে মুলতানি মাটি। ১৫ মিনিট লাগিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চট করে ত্বক ঝকঝকে করার সেরা উপায় এই ফেস প্যাক।
মধু
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য সবচেয়ে জরুরি আর্দ্রতা। ত্বককে আর্দ্র রাখতে প্রয়োজন ভাল ময়েশ্চারাইজার। প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে সবচেয়ে ভাল কাজ করে মধু। দই আর মধুর প্যাক ত্বকে নিয়মিত লাগালে পার্লারের ফেশিয়ালের প্রয়োজন পড়বে না। আবার ত্বকের কোনও রকম র্যাশ বা অ্যালার্জি হলে অ্যালোভেরা-মধুর প্যাক ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। প্যাক বানানোর সময় না পেলে শুধু মধুই গালে লাগিয়ে রাখতে পারেন ৫-১০ মিনিট। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক কেমন তুলতুলে হয়ে গিয়েছে।