প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
জেনিফার অ্যানিস্টন থেকে বিয়েন্সে, অনেকেই জানিয়েছেন তাঁদের নিখুঁত ত্বকের রহস্য— জল। প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার ফলেই নাকি এমন ঝকঝকে ত্বক পেয়েছেন তাঁরা। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া যে স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত জরুরি, তা অনেকেই জানেন। কিন্তু নিখুঁত ত্বকের পিছনেও কি রয়েছে এই পানীয়? এই কথার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি কতটা?
‘ক্লিনিক্যাল, কসমেটিক অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন্যাল ডার্মাটোলজি’ নামে এক জার্নালে ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় জল খাওয়ার সঙ্গে ত্বকের সৌন্দর্যের সম্পর্কের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছে যাঁরা প্রত্যেকদিন কম পরিমাণে জল খান, তাঁদের ত্বক শুষ্ক। প্রত্যেকদিন জলের পরিমাণ বাড়ানোয় তাঁদের ত্বক আরও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। তবে গবেষণায় এ-ও বলা হয়েছে, যাঁরা পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এমনিই খান, তাঁদের জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ানোয় ত্বকে কোনও রকম ফারাক চোখে পড়েনি।
সঙ্গীত-তারকা বিয়ন্সে জানিয়েছেন তিনি প্রত্যেকদিন ১ গ্যালন জল খান। ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুগামীরা নাকি বিশাল আকারের জলের বোতলও দেখতে পেয়েছেন তাঁর কয়েকটা ছবিতে। কিন্তু অনেক গবেষণায় এটা প্রমাণিত, অতটা জল প্রত্যেকদিন খাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। বরং বেশি জল খেলে অনেকের ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে।
কতটা জল খাওয়া প্রয়োজন
প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে সাধারণত ৮-৯ গ্লাস জল সারাদিনে খাওয়াই যথেষ্ট। যাঁধের হৃদরোগ, কিডনির সমস্যা বা অন্য কোনও দীর্ঘ অসুখ রয়েছে তাঁদের জলের পরিমাণ সীমিত রাখতে হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জল খান।
ত্বক ভাল রাখতে যা প্রয়োজন
১। শুধু জল নয়, এমন খাবার খান যাতে জলের পরিমাণ বেশি। যেমন শসা, তরমুজ, স্ট্রবেরি।
২। মিষ্টি খাবার বেশি খাবেন না। মদ্যপান কম করার চেষ্টা করুন।
৩। রূপ-রুটিনে হায়রোলনিক অ্যাসিড বা ত্বক আর্দ্র রাখবে, এমন কোনও সিরাম যোগ করুন। ময়েশ্চারাইজারের আগে লাগাবেন।
৪। ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করা ত্বকের পক্ষে সবচেয়ে উপকারী। স্নান করার সময় আমরা যে সাবান বা স্ক্রাব ব্যবহার করি, তাতে স্তকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা কমে যেতে পারে। তাই স্নানের পরই গায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।