নারকেলের দুধেই হবে রূপচর্চা ছবি: সংগৃহীত
ত্বক ও চুল তার স্বাভাবিক জেল্লা হারাচ্ছে? কিংবা সময়ের আগেই ত্বক বুড়িয়ে যাচ্ছে? ত্বক ও চুলের যে কোনও মুশকিল আসানে ব্যবহার করুন নারকেলের দুধ। এতে রয়েছে একাধিক প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। ভিটামিন ই, ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকায় নারকেলের দুধ ব্যবহার করলে ত্বক ও চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরবেই। দেখে নিন কী কী উপকার রয়েছে নারকেলের দুধের।
ত্বককে আর্দ্র রাখে
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা হলে নারকেলের দুধ ব্যবহার করুন। কারণ এটি ত্বককে করে তোলে মোলায়েম ও আর্দ্র। তুলো দিয়ে ভাল করে সারা মুখে নারকেলের দুধ লাগান। শুকিয়ে গেলে আরও কয়েকবার লাগাতে পারেন, তারপর জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
রোদে পোড়া ত্বক শীতল করে
ত্বক রোদে পুড়ে গিয়েছে? ব্যবহার করুন নারকেলের দুধ। এটি পোড়া ত্বককে শীতল করে। তুলো দিয়ে ভাল করে নারকেলের দুধ রোদে পোড়া জায়গায় থুপে থুপে লাগান, তাহলে লালচে ভাব ও জ্বালাভাব দুটোই কমবে।
নারকেলের দুধ পারে বহু সমস্যার সমাধান করতে।
ব্রণর সমস্যা কমায়
তৈলাক্ত ত্বক যাঁদের, তাঁদের সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ব্রণ নিয়ে। নিয়মিত নারকেলের দুধ মাখলে ত্বকে জমা অতিরিক্ত তেল বেরিয়ে যায়, ফলে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
চুলের জেল্লা ফেরায়
নিয়মিত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনিং করেও চুলের সেই আগের মতো জেল্লা ফিরছে না? কিংবা চুল রুক্ষ হয়ে থাকছে? ব্যবহার করুন নারকেলের দুধ। মাথার ত্বকে প্রতিদিন মিনিট পাঁচেক করে নারকেলের দুধ মালিশ করলে চুলের জেল্লা ফিরবেই।
রোদে পোড়া ত্বকের যত্ন নিতে পারে নারকেলের দুধ।
চুলের বৃদ্ধি ঘটায়
অনেক সময় চুলের ডগা ফেটে যায় ও চুল ঠিক মতো বাড়ে না। নারকেলের দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থাকায় তা চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়ম করে নারকেলের দুধ লাগালে চুল শক্ত ও ঘন হবে।
চুল কন্ডিশনিং করে
এতে রয়েছে প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই, যার ফলে চুলে খুব ভাল ভাবে কন্ডিশনিং করতে পারে নারকেলের দুধ। শ্যাম্পু করার পর নারকেলের দুধকে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করে আধ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল নরম হবে।