কথায় আছে সহকর্মীরা নাকি কখনও বন্ধু হতে পারেন না। অনেকেই এক বাক্যে প্রতিবাদ করবেন কথাটার। হবে নাই বা কেন? বেশিরভাগ সময়টা তো একজন সহকর্মীদের সঙ্গেই কাটান। পরিবারের থেকেও অনেক বেশি সময় সহকর্মীদেরই দেন। খারাপ লাগা, ভাল লাগা সব কিছুই তাঁদের সঙ্গেই শেয়ার করবেন এটাই তো স্বাভাবিক। তবে একটু সাবধান। পাশের চেয়ারে বসে কাজ করা লোকটিকে যতটা বন্ধু আপনি মনে করেন, ততটা কিন্তু নাও হতে পারেন তিনি। বন্ধুর মুখোশ পরা শত্রুও হতে পারেন আপনার। হুট করে কিছু শেয়ার করার আগে একটু ভাবুন। পারলে এড়িয়ে চলুন এই বিষয়গুলো।
আরও পড়ুন: যে ৬ বন্ধুকে সকলের প্রয়োজন
সেক্স: নিজের সেক্স লাইফ নিয়ে কোনওপ্রকার কথা কখনও সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত নয়। অনেক সময়ই সহকর্মীরা আপনার সেক্স লাইফ সম্পর্কে আলোচনা পছন্দ করেন। মন দিয়ে শুনবেনও। পরে আবার সেটা নিয়েই আপনার পিছনে লাগবে।
মতামত: হুট করে যে কোনও বিষয়ে জোরজবরদস্তি নাক গলাতে যাবেন না। জোরজবরদস্তি নিজের মতামত জাহির করা সব সময় সহকর্মীরা মোটেই পছন্দ করেন না।
গসিপ: আমরা বোধহয় প্রত্যেকেই কম বেশি গসিপ প্রেমী। তবে এ ক্ষেত্রে নিজের মনকে একটু সামলে রাখাই ভাল। বন্ধু মনে করে অফিসের যে সহকর্মীটির সঙ্গে আপনি বসের নামে গসিপ করে মজা পাচ্ছেন। নীরবে তিনি যে কখন বসের কানে সে কথা তুলে দিয়ে বসে স্নেহধন্য হয়ে বসে থাকবেন তা ঘুণাক্ষরেও টের পাবেন না আপনি।
উইকএন্ডের প্ল্যান: ভুলেও উইকএন্ড প্ল্যান কারও কাছে প্রকাশ করবেন না। বস তো নয়ই, সহকর্মীদের কাছেও নয়। বরং তাঁদেরকে এটা বলুন যে, এই উইকএন্ডও আপনার ভাল কাটবে না। বাড়ির প্রচুর বাকি থাকা কাজ সারতে হবে।
অবসাদ: অফিস বা বাড়িতে যতই ঝামেলা চলুক না কেন। সহকর্মীদের সঙ্গে সেই নিয়ে আলোচনা না করাই ভাল।
প্রশংসা: আপনি ভাল কাজ করেছেন আর তাই বস হয়তো আপনার প্রশংসা করেছেন। বন্ধু ভেবে তা সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করে ফেললে কিন্তু হিতে বিপরীতও হতে পারে। তলে তলে সহকর্মীরা আপনার ভাবমূর্তি নষ্টও করতেও পারেন।