জলের ঘাটতি পূরণ করবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
গরমের মাত্রা বাড়ছে। বাইরে বেরোলে অতিরিক্ত ঘাম হবে। তাই এখন থেকেই বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে হলে কি বারে বারে শুধু জলই খেতে হবে? হাতের কাছে সহজলভ্য তরল পানীয় বলতে তো সাধারণ মানুষ জলই বোঝেন। আবার নিন্দকেরা হয়তো বলবেন, জলের কোনও বিকল্প হয় না। সে কথা একেবারে ভুল নয়। কিন্তু সারা দিন ধরে যদি কারও এমনি জল খেতে ইচ্ছে না করে, কিংবা কেউ যদি জল খেতে ভুলে যান, সে ক্ষেত্রে কী করণীয়?
১) জল খাওয়ার রুটিন তৈরি করতে পারেন। আগে জেনে নিন আপনার শরীরে জলের চাহিদা কেমন। সেই অনুযায়ী কখন, কতটুকু জল খাবেন তা পরিকল্পনা করে রাখতে পারেন। স্মার্টফোন বা ঘড়িতে অ্যালার্ম সেট করে রাখতে পারেন, তা হলে ভুলে যাওয়ার ভয় থাকবে না। শরীরে জলের ঘাটতিও সামাল দেওয়া যাবে।
২) সারা ক্ষণ জল খেতে ভাল লাগে না। সে ক্ষেত্রে জলের বদলে ইনফিউজ়ড ওয়াটার খাওয়া যেতে পারে। জলের সঙ্গে নানা ধরনের ফল, সব্জি, ভেষজ মিশিয়ে খেলে জলের স্বাদ অন্য রকম হয়ে যায়। এই পানীয় খেতে দিব্য লাগে। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জল শুধু তেষ্টা মেটায়। কিন্তু ইনফিউজ়়ড ওয়াটারের পুষ্টিগুণ জলের চেয়ে বেশি। শরীর থেকে ‘টক্সিন’ বার করতে ইনফিউজ়ড ওয়াটারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।
৩) শরীরে জলের অভাব পূরণ করতে যে সব সময় তরল কিছুই খেতে হবে, এমন নয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জলের পরিমাণ বেশি এমন সব্জি কিংবা ফলও খাওয়া যেতে পারে। ফলের মধ্যে তরমুজ, কমলালেবু, মুসম্বি লেবু, জামরুল, পেয়ারা, শসায় জলের পরিমাণ বেশি। আর শাকসব্জির মধ্যে মুলো, লাউ, চালকুমড়ো, থোড়, লেটুস, সেলরিতে জলের পরিমাণ অনেক বেশি। ডায়েটে এই ধরনের খাবার যোগ করলে জলের পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় বেশ কিছু খনিজের সমতাও বজায় থাকে। ফলে ইলেক্ট্রলাইটের ভারসাম্য নষ্ট হয় না।