কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্রিকেটারদের উল্লাস। ছবি: রয়টার্স।
ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ে ফিরল কলকাতা নাইট রাইডার্স। গুয়াহাটির বর্ষাপারা স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়্যালসকে ৮ উইকেটে হারাল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে রাজস্থান। সেই রান তাড়া করতে সমস্যা হয়নি কলকাতার। ১৫ বল বাকি থাকতে জেতে তারা। কেকেআরের জয়ের পাঁচ কারণ খুঁজল আনন্দবাজার ডট কম।
কেকেআরের জয়ের পাঁচ কারণ:
১) রাহানের টস জেতা— এ বারের আইপিএলে টস খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রাতের ম্যাচে পরে বল করা খুব মুশকিল। যে অধিনায়ক টস জিতছেন তিনিই প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। রাজস্থানের বিরুদ্ধে টস জেতেন কেকেআরের অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। চোখ বন্ধ করে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সেখানেই খেলা অর্ধেক জিতে যায় কেকেআর।
২) গুয়াহাটির উইকেটে সুবিধা পেলেন বোলারেরা— আইপিএলের বাকি মাঠের উইকেটের থেকে গুয়াহাটির মাঠের উইকেট কিছুটা আলাদা। সেখানে বোলারদের জন্য কিছুটা হলেও সুবিধা রয়েছে। বল উইকেটে পড়ে মাঝে মাঝে একটু থমকাচ্ছে। ফলে শট খেলতে সমস্যা হচ্ছে। ইডেনে সেই সুবিধা পাননি কেকেআরের বোলারেরা। কিন্তু গুয়াহাটিতে তাঁরা সেটা পেয়েছেন। সেই সুবিধা কাজে লাগিয়েছেন বোলারেরা।
৩) বরুণ-মইনের দাপট— কেকেআরের সেরা শক্তি বরুণ চক্রবর্তী। ইডেনে রান দিলেও গুয়াহাটিতে তাঁর সামনে সমস্যায় পড়লেন রাজস্থানের ব্যাটারেরা। এই ম্যাচে সুনীল নারাইনের বদলে খেলেন মইন আলি। তিনিও ভাল বল করলেন। উইকেট থেকে যে সাহায্য তাঁরা পেলেন তা কাজে লাগিয়ে রাজস্থানের কাজ কঠিন করলেন দুই স্পিনার। দু’জনে মিলে আট ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিলেন। মাঝের ওভারে রাজস্থানের উইকেট পড়ল। ফলে বেশি রান করতে পারেনি তারা।
৪) পাওয়ার প্লে-তে উইকেট না হারানো— ১৫২ রান খুব বেশি না হলেও শুরুতে উইকেট পড়লে সমস্যায় পড়ত কেকেআর। সেটা হতে দেননি দুই ওপেনার কুইন্টন ডি’কক ও মইন আলি। মইন রান করতে সমস্যায় পড়লেও উইকেট ধরে রাখেন। পাওয়ার প্লে-তে ৪০ রান করলেও একটিও উইকেট পড়েনি। সেখানেই জেতার শেষ সুযোগও শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের।
৫) ডি’ককের ম্যাচ জেতানো ইনিংস— তাঁকে কেন এ বার নিয়েছে কেকেআর, তার প্রমাণ দিলেন ডি’কক। ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেললেন। অন্য ব্যাটারেরা যে পিচে রান করতে সমস্যায় পড়লেন সেখানে সাবলীল ভাবে ব্যাট করলেন তিনি। উইকেটের চার দিকে মারলেন। ডি’কক জানতেন, তিনি শেষ পর্যন্ত থাকলে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়বেন। সেটাই করলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬১ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন ডি’কক।