সাধারণ ফ্লু না কি করোনাভাইরাসের হানা, তা বুঝতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। ছবি: শাটারস্টক।
ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথা যন্ত্রণা। সাধারণ সময়ে এ সব উপসর্গ মানে খুব বেশি হলে ভাইরাল ফ্লুয়ের কথাই ভাবা হত কিছু দিন আগে পর্যন্ত। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এই সব উপসর্গ দেখা দিলেই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) থাবা বসাল কি না নিয়ে তা নিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন চিন্তা।
এই দুই ধরনের জ্বরের উপসর্গে এতটাই মিল যে, চিকিৎসকরাও হিমশিম খাচ্ছেন রোগ নির্ণয়ে। অনেক সময়ই দেরি হচ্ছে অসুখ ধরা পড়তে। তাই রোগ নির্ণয়ের সুবিধার জন্যই জেনে রাখা ভাল, এই দুই জ্বরের ধরন কেমন। মিল কোথায়। অমিলই বা কী।
সাধারণ ফ্লু ও করোনার মধ্যে মিল
• দুই ধরনের ফ্লু-ই ভাইরাসবাহিত।
• দুই রোগই সংক্রমণজনিত।
• মানবশরীর থেকেই ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম।
• দুই ধরনের ফ্লু-ই সময় মতো সচেতন না হলে বা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করলে নিউমোনিয়ার দিকে বাঁক নিতে পারে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
তফাত কোথায়
• সাধারণ ফ্লু ও করোনা দুই-ই ভাইরাসঘটিত অসুখ হলেও দুই অসুখের ভাইরাস সমগোত্রীয় নয়। সাধারণ ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের প্রকোপে হয় আর কোভিড-১৯ হয় করোনা গ্রুপের ভাইরাসের কারণে।
• করোনা ভাইরাস ছড়ায়ও অনেক দ্রুত। তুলনায় ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস ছড়ায় অনেক ধীরে।
• সাধারণ ফ্লুয়ের বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ২-৩ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়। করোনার বেলায় ভাইরাসের সংস্পর্শে আসার ৭-১৪ দিনের মধ্যে অসুখ দেখা দেয়।
• সাধারণ ফ্লুয়ের বেলায় জ্বর ১০৩-১০৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠে যেতে পারে, তবে ওষুধের কাজ শুরু হলে তা নামতেও শুরু করে। করোনার বেলায় জ্বর প্রবল হলেও নামতে চায় না সহজে। ওষুধও কাজ করে না।
• সাধারণ ফ্লু বোঝার জন্য কোনও আলাদা করে পরীক্ষার দরকার পড়ে না। কিন্তু করোনা কি না জানতে গেলে পলিমারেস চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর পরীক্ষা করা হয়।
• সাধারণ ফ্লুয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ভ্যাক্সিন রয়েছে। কিন্তু করোনা রোধে তেমন কোনও ভ্যাকসিনের সন্ধান এখনও পাননি গবেষকরা।