ম্যানিকিয়োর করালে কী হবে? ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ির ফ্রিজে নেলপলিশগুলো পড়েই আছে। কলেজে পড়াকালীন প্রতি সপ্তাহে পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে নেলপলিশ পরতেন। কিন্তু এখন আর সে সবের চল নেই। প্রয়োজন হলেই বাড়ির সামনে সালোঁয় চলে যান। ম্যানিকিয়োর করিয়ে, নখ সাজিয়ে চলে আসেন। ম্যানিকিয়োর করানোর সুবিধে যেমন রয়েছে, তেমন অসুবিধেও রয়েছে। অভিজ্ঞরা বলছেন, নখের সংক্রমণ হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হল ম্যানিকিয়োর। অবশ্য নেলআর্ট, নেলজেল করালেও একই রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, নখের উপর যে ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, সেগুলির মধ্যে ফরম্যালডিহাইড, টলুয়েন এবং ডিবুটাইল প্যাথালেট থাকে। তা থেকে কারও কারও ত্বকে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই অ্যালার্জি কারও কারও ক্ষেত্রে ত্বক পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, নখে জেলের পরত এবং নতুন নখ গজানোর সংযোগস্থলটিই ছত্রাক এবং নানা ধরনের রোগজীবাণুর আঁতুড়ঘর। বিশেষ করে পায়ের নখের ক্ষেত্রে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। আবার, সংক্রমিত হাতের নখ থেকে খাবারের মাধ্যমে ছত্রাক সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যা থেকে পরবর্তী কালে বুক, মূত্রনালি, কান, চোখ, এমনকি রক্তেও সংক্রমিত হতে পারে। তাই নখে এই ধরনের সমস্যা দেখলে প্রথমেই সতর্ক হতে হবে। নখে কারুকাজ করালেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এক বার সংক্রমণ হয়ে গেলে নতুন নখ গজানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তত দিন পর্যন্ত সালোঁয় গিয়ে নখে কোনও কারুকাজ বা ম্যানিকিয়োর করানো যাবে না।