ছবি : সংগৃহীত।
রান্না করার থেকেও বেশি ঝক্কি পোহাতে হয় জোগারযন্ত্রে। আনাজ কাটা, মশলা বাটা, তারও আগে পেঁয়াজ, আদা, রসুনের খোসা ছাড়িয়ে কুঁচনো কম সময়সাধ্য নয়। সময় বাঁচাতে অনেকেই তাই ওই সব কাজ আগে থেকে সামলে রাখেন। সকালের রান্নার জন্য আগের দিন রাতেই কেটে কুটে রাখেন আনাজপাতি। কিছু না হলেও আগে থেকে রসুন আর পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে রেখে দেন কেউ কেউ। পেঁয়াজ কুঁচিয়েও রাখেন অনেকে। কিন্তু আগের দিন থেকে কেটে রাখা সেই পেঁয়াজ ব্যবহার করা কি আদৌ সুরক্ষিত? পেঁয়াজ আগে থেকে কেটে রাখলে কী ভাবে সংরক্ষণ করা উচিত? কত ক্ষণই বা তা ব্যবহারের উপযুক্ত থাকে?
ছবি: সংগৃহীত।
কতটা সুরক্ষিত?
শাক-সব্জির গুণাগুণ নিয়ে যাঁরা নিত্য গবেষণা করছেন, তাঁরা বলছেন, পেঁয়াজে আছে সালফার। যে সালফারের উপস্থিতির জন্য পেঁয়াজ কাটার সময়ে চোখ থেকে জল পড়ে, তা পেঁয়াজে ব্যাকটেরিার জন্মেরও কারণ। বাতাসে থাকা প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়া পেঁয়াজকে অক্সিডাইজ় করে নষ্ট করতে শুরু করে। তাতে পেঁয়াজের পুষ্টিগুণ তো থাকেই না, বরং তা খেলে শরীর অসুস্থ হয়েও পড়তে পারে। পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে কারণে রাস্তার ধারের দোকান বা রেস্তরাঁতেও আগে থেকে কেটে রাখা স্যালাড খেতে চিকিৎসকেরা বারণ করেন। খোসা ছাড়ানো বা পেঁয়াজ কেটে ফ্রিজে রাখলে সেখানেও ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে। তাই চিকিৎসকেরা বলেন, পেঁয়াজ খেলে তা তৎক্ষণাৎ কেটে খাওয়াই ভাল। তবে পেঁয়াজ কি সুরক্ষিত ভাবে সংরক্ষণ করা যায় না?
ছবি: সংগৃহীত।
পেঁয়াজ সংরক্ষণের নিয়ম
১। ফ্রিজে যদি পেঁয়াজ একান্তই রাখতে হয়, তবে সব সময় কোনও বায়ুরোধক বাক্স বা মুখ বন্ধ করা যায় এমন বায়ুরোধক পলিথিন ব্যাগে রাখতে হবে।
২। কেটে রাখা বা খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজ কখনওই কোনও মুখ খোলা বাটি বা থালায় খোলা অবস্থায় ফ্রিজে রাখবেন না।
৩। বায়ুরোধক পাত্রে ফ্রিজে পেঁয়াজ রাখতে হলে, তা রাখতে হবে অন্তত ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট অথবা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। অথবা তার চেয়েও কম তাপমাত্রায়।
ফ্রিজে রাখা পেঁয়াজ কতদিন ব্যবহারোপযোগী?
বায়ুরোধক কৌটোয় নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নিয়ম মেনে পেঁয়াজ সংরক্ষণ করলে, ৭-১০ দিন পর্যন্ত ভাল থাকে। ফ্রিজারে মাইনাস ১৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাটা পেঁয়াজ বায়ুরোধক পাত্রে সংরক্ষণ করলে, তা আট মাস পর্যন্ত ভাল থাকবে। রান্না করা বা ভাজা পেঁয়াজ একই ভাবে ১২ মাস ভাল থাকবে ফ্রিজ়ারে।