পড়াশোনা শেষ করার পর থেকেই জীবিকার সন্ধান শুরু হয়। কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে পড়তেই চাকরি খুঁজতে শুরু করেন। সরকারি হোক বা বেসকরকারি, চাকরির প্রতিযোগিতায় নাম লেখান যাঁরা, তাঁরা সকলেই চান সফল হতে। সকলেই যে কৃতকার্য হল, এমনটা নয়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও সফল হন না অনেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু যোগ্যতা থাকাই যথেষ্ট নয়। তার জন্য বিশেষ কয়েকটি গুণ থাকা আবশ্যক। জানেন সেগুলি কী?
১) কথা বলার দক্ষতা
ঊর্ধ্বতনের কাছে নিজের পরিকল্পনা স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরতে গেলেও কিন্তু দক্ষতা প্রয়োজন। পাশাপাশি, সহকর্মীদের সঙ্গে বোঝাপড়া ভাল হওয়ার জন্যও কথা বলা প্রয়োজন। যুক্তি এবং বোধ, এই দুইয়ের মিশেলে যে দক্ষতা তৈরি হয়, তা কর্মক্ষেত্রে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
২) মিলেমিশে কাজ করা
কর্মক্ষেত্রে নিজের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ সকলেই খোঁজেন। তবে মনে রাখতে হবে, দিনের শেষে যে কোনও প্রতিষ্ঠানই চায়, দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার মানসিকতা কেমন।
৩) বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা
নতুন নতুন প্রযুক্তি, কাজের ধরন চট করে শিখে-বুঝে নিতে পারেন যাঁরা, তাঁদের মতো দক্ষ কর্মীর সন্ধান করে সংস্থাগুলি। যে কোনও পরিস্থিতিতে কাজ উতরে দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে কর্মক্ষেত্রে আগ্রাধিকার পাওয়া সম্ভব।
৪) সমস্যা মেটানোর ক্ষমতা
কোনও বিপদে হলে ভয় না পেয়ে বুদ্ধি দিয়ে তা মোকাবিলা করার ক্ষমতা কার কতটা রয়েছে, সে বিষয়টিও কর্তৃপক্ষ দেখতে চান।
৫) সময়ে কাজ করা
কোনও কাজ দক্ষতার সঙ্গে যে তাড়াতাড়ি শেষ করতে পারবে, সংস্থার পাল্লা তার দিকেই ভারী থাকবে। কাজের চাপ নেওয়ার ক্ষমতা, মানসিকতা এবং দক্ষতার উপর কর্তৃপক্ষের নজর থাকে।
৬) নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা
কর্মীদের মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা থাকা জরুরি। সহকর্মীদের উৎসাহ দেওয়া, কোনও কাজ পরিচালনা করার দক্ষতা থাকলে যে কোনও সংস্থাই কাজের যোগ দেওয়ার সুযোগ দিতে পারে।
৭) সৃজনশীলতা
যে কাজই করুন না কেন, তার মধ্যে নিজস্বতা থাকা জরুরি। নতুন নতুন ভাবনার জন্ম দেওয়া এবং তা কার্যকর করার মধ্যে যেমন আনন্দ রয়েছে, তেমন সংস্থার ‘নেক’ নজরে পড়ার আশাও রয়েছে।