কিছু দিন আগেই ‘ডিপ ফেক’ পদ্ধতি ব্যবহার করে হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনকে নিয়ে পর্ন ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগ ওঠে। —ফাইল চিত্র
বিজ্ঞান যেমন জীবনকে সহজ করে, তেমনই বিজ্ঞানের অপব্যবহার ডেকে আনতে পারে বিপদও। বিশেষ করে যদি ভুল মানুষের হাতে পড়ে। এমনই এক প্রযুক্তি ‘ডিপ ফেক’। সোজা ভাষার এই পদ্ধতি ব্যবহার করে কোনও কোনও ব্যক্তির মুখের আদল অবিকল নকল করা যায়। আর সেই পদ্ধতি ব্যবহার করেই চলছে পর্ন ছবি তৈরির কাজ। এই কুকর্মের শিকার হচ্ছেন চিত্র তারকারাও।
কিছু দিন আগেই ‘ডিপ ফেক’ পদ্ধতি ব্যবহার করে হলিউড তারকা স্কারলেট জোহানসনকে নিয়ে পর্ন ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগ ওঠে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েও পড়ে সেই ভিডিয়ো। আক্ষেপের সুরে অভিনেত্রী জানান, পণ্যতে পরিণত হয়েছে যৌনতা, আর ইন্টারনেট সেই পণ্য বিক্রির অন্যতম একটি জায়গা। শুধু স্কারলেটই নন, একই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। পর্ন ভিডিয়ো তৈরি না হলেও তাঁর মুখাবয়ব ব্যবহার করে ভুয়ো বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।
ডিপ ফেক এমন একটি প্রযুক্তি যা ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তির মুখাবয়ব অবিকল নকল করা যায়। ফটোর ক্ষেত্রে ঠিক যে ভাবে এক জনের দেহে অন্য এক জনের মুখ বসিয়ে দেওয়া যায় তেমনই এই প্রযুক্তিতে ভিডিয়োর মধ্যেও অন্য কারও মুখ বসিয়ে দেওয়া যায় আর এক জনের দেহে। এই কাজে কৃত্রিম মেধা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহৃত হয়। ১৯৯০-এর শেষ দিক থেকেই এই পদ্ধতি নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা চলছিল। সম্প্রতি খুবই উন্নত হয়েছে সেই পদ্ধতি। এতে ভিডিয়োতে কোনও মানুষের নড়াচড়া থেকে কথা বলার ভঙ্গি— নকল করা যায় সবই। এমনকি, কে কী ভাবে তাকান তা-ও অবিকল নকল করে নেয় প্রযুক্তি। ফলে ভিডিয়োতে যিনি রয়েছেন তিনি আসল না নকল, তা ঠাহর করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেন জাস্টিন টেলর নামের এক নেটাগরিক। এলিজাবেথ ওলসেন ও স্কারলেট জোহানসন, দু’জনকে পাশাপাশি রেখে একটি ভিডিয়ো তৈরি করেন তিনি। সেখানে কে আসল আর কার মুখ ‘ডিপ ফেক’ করা, তা খুঁজে বার করতে বলেন তিনি। সেই ভিডিয়োর দুই চরিত্রই আসলের এত কাছাকাছি যে, কে আসল আর কে নকল তা বুঝে উঠতে পারেননি অনেকেই।