দোলে মিষ্টিমুখ করুন বলরাম মল্লিক এবং রাধারমন মল্লিকের খাবার দিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
দোল হোক বা হোলি, শহর মেতে উঠবে রঙের খেলায়। তার প্রস্তুতি প্রায় সারা। শহরের বিভিন্ন দোকান সেজে উঠেছে ভেষজ রং, ফাগ, পিচকারিতে। সারা দিন রং মেখে, বন্ধুর বাড়িতে হইচই করে, ভাং খেয়ে বাড়ি ফিরে রাতে কী রান্না হবে সেই চিন্তা করতে মোটেই ভাল লাগবে না। তাই সে দিন রাতেও পরিবারের সকলকে নিয়ে বাইরে খেতে যাবেন বলেই মনস্থ করেছেন। দোল উপলক্ষে শহরের রেস্তরাঁগুলিও সেজে উঠেছে। কোন রেস্তরাঁয় কী ধরনের খাবার পাওয়া যাচ্ছে, রইল তার সন্ধান।
১) হোমলি জেস্ট:
ছবি: সংগৃহীত।
দোলের দিন দুপুরে জমিয়ে মাংস-ভাত তো খেয়েছেন। বাঙালি ফুটকড়াই, মঠ ছেড়ে বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে হোলির বিশেষ কিছু অবাঙালি খাবার চেখে দেখতে চান। কোথায় যাবেন? ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের কাছে রয়েছে হোমলি জেস্ট। সেখানে গেলেই পাবেন খান্ডভি চাট, টোকরি চাট, আলু টিক্কি চাট। সঙ্গে থাকবে বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডাই, ক্ষীর বাটি টার্ট, মোতিচুরের লাড্ডু দিয়ে তৈরি নানা রকম শর্ট্স। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ৭০০ টাকার মতো।
২) অ্যাম্ব্রোসিয়া:
ছবি: সংগৃহীত।
রাস্তার ধারে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে তো অনেক ফুচকা খেয়েছেন। এ বার একটু স্বাদ বদল করতে রেস্তরাঁয় গিয়েও সেই খাবার চেখে দেখতে পারেন। সঙ্গে থাকবে মিলেট দিয়ে তৈরি স্বাস্থ্যকর ভেল। নানা রকম সব্জি দিয়ে তৈরি থাই কাপ্স, বড়া পাও স্লাইডার, কনডেন্সড মিল্ক এবং নারকেলের দুধ দিয়ে তৈরি রসমালাই। কোথায় পাবেন এত কিছু? হাজরা রোডে মহারাষ্ট্র নিবাসের কাছেই রয়েছে অ্যাম্ব্রোসিয়া। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ৩৫০০ টাকার মতো।
৩) প্যাপরিকা গওরমে:
ছবি: সংগৃহীত।
দোল উদ্যাপন করতে ভিন শহর থেকে বন্ধুরা এসেছেন। তাঁদের একটু অন্য কিছু খাওয়াতে চান? লাওডন স্ট্রিটে রয়েছে প্যাপরিকা গওরমে। সেখানকার ইরানি প্ল্যাটার খাওয়াতে পারেন বন্ধুদের। এ ছাড়াও রয়েছে নানা রকম কবাব। মিনি দবেলি, টম ইয়াম ম্যাগি, পপ্সিক্ল অ্যান্ড পান, রসমালাই ডিস্ক-সহ আরও অনেক কিছু। খরচ পড়বে ১৫০০ টাকার মতো।
৪) দ্য মিন্ট এনফোল্ড:
ছবি: সংগৃহীত।
হোলিতে বন্ধুর বাড়িতে ‘মিষ্টি’ উপহার পাঠাতে চান? কিন্তু আপনার বন্ধু স্বাস্থ্য সচেতন। সাধারণ মিষ্টি ছুঁয়েও দেখেন না। তাঁদের কথা ভেবেই দ্য মিন্ট এনফোল্ড হোলি উপলক্ষে তৈরি করেছে বিশেষ গুলকন্দ ট্রাফল্স। অনলাইনে অর্ডার দিলে তাঁরাই দায়িত্ব নিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। খরচ শুরু ৬০০ টাকা থেকে।
৫) বলরাম মল্লিক এবং রাধারমন মল্লিক:
ছবি: সংগৃহীত।
পুজো হোক বা দোল— বাঙালির পাতে মিষ্টি থাকবেই। দোল উপলক্ষে তাই বলরাম মল্লিক এবং রাধারমন মল্লিকের সব শাখাতে থাকবে হোলি স্পেশাল ঠান্ডাই সন্দেশ, স্টাফ্ড মালপোয়া, সরের নাড়ু, ম্যাঙ্গো জিলাতো, কেশর পাত্তি, দিলখুশ, রোজ় ক্রিম, কেশর রসমালাই আরও অনেক কিছু। খরচ শুরু ৩০০ টাকা থেকে।
৬) ক্যাফে এক্স অ্যান্ড ওয়াই:
ছবি: সংগৃহীত।
প্রচলিত বাঙালি কিংবা অবাঙালি তেমন কোনও মিষ্টিই খাবেন না। একেবারে নতুন ধরনের কিছু খাবার খেয়ে মিষ্টিমুখ করবেন। কোথায় যাবেন? বর্ধমান রোডের কাছেই রয়েছে ক্যাফে এক্স অ্যান্ড ওয়াই। সেখানে গেলেই চেখে দেখতে পারবেন একেবারে ভিন্ন স্বাদের ক্যারামেল লভ, অরেঞ্জ আমন্ড ফিনান্সিয়ার, কোকোনাট ট্রেস লিচেস বক্স, ফ্রেশ স্ট্রবেরি কেক-সহ আরও অনেক কিছু। হোলির সন্ধ্যায় বন্ধু কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে যেতেই পারেন। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ১৫০০ টাকার মতো।
৭) হার্ড রক ক্যাফে, কলকাতা:
ছবি: সংগৃহীত।
দোলের দিন রঙের বৃষ্টি হবে অথচ খানাপিনা হবে না? দোল উপলক্ষে পার্ক স্ট্রিটের হার্ড রক ক্যাফেও সেজে উঠেছে রংবেরঙের বিভিন্ন রকম পানীয়ের সম্ভার নিয়ে। সেখানে গেলে পেতে পারেন ট্রায়ো কালারফুল শট্স, ফিশ ও ফিলে স্যান্ডউইচ, বেরি স্যালাড। পানীয়ের জন্য খরচ শুরু হচ্ছে ৬৯৯ টাকা থেকে।
৮) দ্য ভবানীপুর হাউজ়:
ছবি: সংগৃহীত।
দোলের দিন পরিবারের সঙ্গে জমিয়ে ভুরিভোজ সারতে পারেন দ্য ভবানীপুর হাউজ়ে। এখানে এলে অবশ্যই খেতে হবে পিচকারি ওয়ালি ফ্রায়েড চিকেন, হোলি কি বাওচার, সানসেট মকটেল। আমিষ, নিরামিষ— সবই পাবেন। খরচ শুরু ১০০০ টাকা থেকে।