বড়দিন, নতুন বছরে শহরের কোথায়, কী খাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কমলালেবু না খেলে যেমন শীতের আমেজ পাওয়া যায় না। তেমনই বড়দিন বা নতুন বছরে কেক না খেলে উদ্যাপন সম্পূর্ণ হয় না। তবে বন্ধুদের সঙ্গে খেতে গেলে শুধু কেক, পেস্ট্রিতে শেষ হবে না। খানার সঙ্গে একটু আধটু পিনার ব্যবস্থাও থাকতে হবে। উৎসব উপলক্ষে শহরের সঙ্গে সেজে উঠছে বেশ কিছু রেস্তরাঁও। বন্ধুদের সঙ্গে কোথায় যাবেন, পরিবারের সঙ্গেই বা কোথায় খাবেন, রইল তার সুলুকসন্ধান।
১) মাঙ্কি বার
ছবি: সংগৃহীত।
নতুন বছর উদ্যাপন করবেন। সঙ্গে থাকুক চিকেন ওয়েলিংটন, অ্যাভোকাডো স্যালাড, গ্রিল্ড পর্ক রিব্স, ক্লাসিক মাশরুম রিজ়োটোর মতো খাবার। একঘেয়ে রাম, বিয়ার বা ওয়াইন নয়। পানীয়েও বৈচিত্র রয়েছে। হট বাটার্ড রাম, এগ্নগ্, ড্রাঙ্কেন স্নোম্যান, ক্রিসমাস পাঞ্চ। ২০ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারির মধ্যে যে কোনও দিন বন্ধুদের সঙ্গে লাঞ্চ অথবা ডিনার সারতে চলে আসতেই পারেন। পানীয়-সহ দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ২২০০ টাকা। পানীয় না চাইলে, তা-ও সম্ভব। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ১৬০০ টাকা। অনলাইনে ফুড ডেলিভারি সংস্থাকে অর্ডার দিলে, তারা বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেবে।
২) দ্য মিন্ট এনফোল্ড
ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর ডায়েট করলেও পালা-পার্বনের দিনে কি মিষ্টি খাবার না খেয়ে থাকতে পারবেন? নিজে না-ই বা খেলেন, বন্ধু কিংবা আত্মীয়কে উপহার তো দিতেই পারেন। সেই ব্যবস্থা করেছে দ্য মিন্ট এনফোল্ড। বিশেষ একটি ডেজ়ার্ট বোর্ড ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। তার মধ্যে বাছাই করা সব মিষ্টি। চকোলেট চিপ্স, ডার্ক চকোলেট, আমন্ড বাটার, জিঞ্জার ক্র্যানবেরি, নানা ধরনের বিস্কুট এবং মরসুমি বিভিন্ন ধরনের শুকনো ফল। বিশেষ এই বোর্ডের মূল্য ৩ হাজার টাকা। অনলাইনে অর্ডার করলেই বাড়িতে বসে পেয়ে যাবেন বিশেষ এই ‘মিষ্টি’ বোর্ড।
৩) হার্ড রক ক্যাফে
ছবি: সংগৃহীত।
যে উৎসবই হোক, উদ্যাপন করতে যেতেই পারেন হার্ড রক ক্যাফে-তে। ১৫ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত খানাপিনার বিপুল আয়োজন করেছে তারা। খাবারের পাশাপাশি, ঠান্ডা-গরম নানা ধরনের পানীয়ে চুমুক দিতে পারেন। খরচ পড়বে ৭৫০ টাকার মতো।
৪) ইয়াউচা
ছবি: সংগৃহীত।
মাংস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন? বিরাট কোহলির মতো ভিগান মক মিট দিয়ে তৈরি নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায় এখানে। চাইলে চেখে দেখতেই পারেন। ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বড়দিনের উৎসব। এ ছাড়াও স্পাইসি বেসিল চিকেন ডাম্পলিং, ক্রিসপি সিসেমি চিকেনের মতো খাবারও রয়েছে। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ২৫০০ টাকার মতো। ভিড় এড়াতে চাইলে অনলাইনে খাবার অর্ডারও করতে পারেন।
৫) ফর্ক অ্যান্ড নাইফ
ছবি: সংগৃহীত।
রাতে পরিবারের সঙ্গে বাইরে খেতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তার আগে সহকর্মীদের সঙ্গেও একটু খাওয়াদাওয়া করতে চান। হালকা, স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হলে চলে যান বালিগঞ্জে। সেখানেই রয়েছে ফর্ক অ্যান্ড নাইফ। ‘স্ট্রবেরি স্পিনাচ স্যালাড’ চেখে দেখতেই পারেন। দু’জনের জন্য খরচ পড়বে ১৮০০ টাকা। চাইলে অনলাইনে খাবার অর্ডারও করতে পারেন।
৬) বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক
ছবি: সংগৃহীত।
বাড়ির বয়স্কদের জন্য কেক-পেস্ট্রি কিনতে চান, কিন্তু তা হতে হবে ডিম ছাড়া। সেই ব্যবস্থা করেছে বলরাম মল্লিক। মিনি স্ট্রবেরি পেস্ট্রি, ছানার তিরামিসু, হোয়াইট ফরেস্ট পেস্ট্রি, ফ্রুট কেকের বিপুল সম্ভার রয়েছে সেখানে। খরচ পড়বে ৩০০ টাকার মতো। কলকাতা জুড়ে তাদের একাধিক শাখা রয়েছে। যে কোনও একটিতে গেলেই হল।
৭) প্যাপরিকা গোরমে
ছবি: সংগৃহীত।
বড়দিন এবং নতুন বছর উপলক্ষে যাওয়া যায় প্যাপরিকা গোরমে-তে। হাজার একটা খাবার তো রয়েছেই। সঙ্গে রয়েছে নানা রকম চকোলেট, উপহার দিয়ে সাজানো হ্যাম্পার। খরচ শুরু ১০০০ টাকা থেকে।
৮) দ্য ভবানীপুর হাউজ়
ছবি: সংগৃহীত।
কিনোয়া, টাসকান পটেটো, লেহমে, পোলো লাজ়িয়ো-মতো খাবার চেখে দেখতে চাইলে আসতে হবে দ্য ভবানীপুর হাউজ়-এ। ডেভিল চকোলেট কেক এবং অ্যাপ্ল ক্রাম্বল টার্ট থাকবে শেষ পাতে। খরচ পড়বে ১০০০ টাকার মতো।
৯) ট্র্যাফিক গ্যাস্ট্রোপাব
ছবি: সংগৃহীত।
বড়দিন এবং নতুন বছর উপলক্ষে ট্র্যাফিক গ্যাস্ট্রোপাব নিয়ে এসেছে একগুচ্ছ খাবার। গোবি মাঞ্চুরিয়ান, উইন্টার প্রন-স্টার, চিলি গার্লিক সিফুড, পেরি পেরি রোস্টেড চিকেন, চকোলেট বম্ব, বেক্ড আলাস্কার মতো খাবার রয়েছে এখানে। রয়েছে অফুরন্ত পানীয়ের ব্যবস্থাও। খরচ পড়বে ২২০০ টাকার মতো।
১০) হাউজ় অফ রয়্যাল্স
ছবি: সংগৃহীত।
মুর্গ কবাব প্ল্যাটার, চিজ়ি মিট ফ্রাইজ়, ইম্পেরিয়াল চিকেন, চেলো কবাব, ফিশ ম্যুনিয়ার মতো খাবারের স্বাদ চেখে দেখতে চাইলে ঢুঁ মারতে পারেন হাউজ় অফ রয়্যাল্স-এ। ১৫ থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলছে নিউ ইয়ার ফিয়েস্তা। খরচ শুরু ৬৫০ টাকা থেকে।