নিজের বিষয়ে কোনও কোনও সিদ্ধান্ত নিজেই নিক খুদে। ছবি: সংগৃহীত
১৮ বছর বয়স হয়নি? তা হলে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নেওয়ার অধিকার নেই। তা হলে গুরুত্বপূর্ণ সব কিছু ঠিক করে দেবেন অভিভাবকেরা। এমন ঘটনা ঘটে অনেকের ক্ষেত্রেই। আর বয়স যদি ১৮ বছরের চেয়ে অনেকটা কম হয়, তা হলে তো কথাই নেই। নিজের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও অধিকারই দেওয়া হয় না শিশুদের।
কিন্তু কেন এমন করেন বাবা-মায়েরা? বেশির ভাগেরই মত, শিশুরা নিজেদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে ভুল করতে ফেলতে পারে। তাতে ক্ষতি হতে পারে তাদের। কিন্তু বিষয়টা আসলে উল্টোই। এমনই বলছেন মনোবিদরা। অল্প করে হলেও নিজের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার শিশুদের দেওয়া উচিত। তা না হলে ভবিষ্যতে সমস্যা হতে পারে।
কেন শিশুকে নিজের হয়ে কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নিতে উৎসাহ দেবেন? কী কী লাভ হতে পারে এর ফলে?
• আত্মবিশ্বাস বাড়বে: ছোট থেকেই যে সব শিশুকে নিজেদের হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়, তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে তাদের ভুল হতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে বকুনি নয়, তাদের ভাল করে বুঝিয়ে দেওয়া উচিত, কোথায় ভুল হচ্ছে।
• গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়বে: পরিবারে এক এক জনের এক এক রকম ভূমিকা থাকে। কোনও কোনও পরিবারে সকলের গুরুত্ব সমান হয় না। কিন্তু অনেক শিশুই পরিবারের মধ্যে নিজেকে গুরুত্বহীন বলে মনে করে। কারণ তাদের সিদ্ধান্তকে কোনও গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু সেই গুরুত্বটুকু দেওয়া হলে পরিবারে নিজেদের অবস্থান সম্পর্কে তাদের সচেতনতা বাড়বে।
• শেখাতে পারবে: সমীক্ষা বলছে, যে সব শিশুদের স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে দেওয়া হয়, তারা নিজেরাও দ্রুত নতুন জিনিস শিখে নিতে পারে। পরবর্তী সময়ে অন্যদেরও দ্রুত শেখাতে পারে নানা কিছু। শিশুদের আত্মবিশ্বাস বাড়লে, অন্য শেখানোর ক্ষমতাও বাড়ে।
• নিজেকে আবিষ্কার: প্রত্যেকেরই নিজেকে চেনাটা খুব জরুরি। যে সমস্ত শিশু নিজের কোনও বিষয় নিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তাদের এই জায়গায় একটা খামতি থেকে যায়। ভবিষ্যতে তারা নিজেদের ভাল করে চিনতে পারে না। নিজের ক্ষমতা-অক্ষমতা সম্পর্কে অবগত হতে পারে না। তাই ছোট থেকেই কিছু কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে তাদের উৎসাহ দেওয়া উচিত।