Durnibar Saha

Durnibar Saha: বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিচ্ছেদের পথে দুর্নিবার-মীনাক্ষী? কেন এমন পরিস্থিতি

দুর্নিবার পরকীয়ায় জড়িয়েছেন বলেই টলিপাড়ার খবর। এক বছরের মাথায় কেন ভেঙে যায় বিয়ে? বিয়ের প্রথম বছরটা এত গুরুত্বপূর্ণ কেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২২ ১১:২২
Share:

কী এমন হল, যে বিয়ের এক বছরের মধ্যে বিচ্ছেদের কথা ভাবছেন দুর্নিবার-মীনাক্ষি? ছবি: সংগৃহীত

বিয়ে ভাঙছে দুর্নিবার সাহার? এমনই খবর ঘুরছে টলিপাড়ায়। ইদানীং দুর্নিবার-মীনাক্ষির দাম্পত্যকলহ চরমে। শোনা যাচ্ছে, এখন তা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন মীনাক্ষি। ঘনিষ্ঠ মহলের খবর, নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন দুর্নিবার। তার জেরেই এই পরিস্থিতি।

Advertisement

কাজের সূত্রে আলাপ হয়েছিল দুর্নিবার-মীনাক্ষির। সেখান থেকেই প্রেম এবং পরে বিয়ে। কী এমন হল, যে বিয়ের এক বছরের মধ্যে বিচ্ছেদের কথা ভাবতে হচ্ছে যুগলকে? কেন বিয়ের প্রথম বছরের মধ্যেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই? এর ব্যাখ্যা অত সহজ নয়। একটা সম্পর্কের সমীকরণ বোঝাও বাইরে থেকে অসম্ভব। তবে সাধারণত দেখা যায়, দু’জন মানুষ যখন এক ছাদের নীচে থাকা শুরু করেন, তখন অনেক সময় চেনা মানুষকেও অচেনা লাগে। সম্বন্ধ করে বিয়ে হয় যাঁদের, তাঁদের ক্ষেত্রে বিয়ের প্রথম বছরটা সত্যিই কঠিন। সম্পূর্ণ নতুন এক জন মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া সহজ নয়। বিয়ে-সম্পর্ক নিয়ে সকলেরই নিজের মনে নানা রকম প্রত্যাশা-স্বপ্ন থাকে। একসঙ্গে থাকতে গিয়ে যখন দেখা যায় তা মিলছে না, তখনই মুশকিল শুরু হয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে অনেক সময়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। কারণ শুধু একজন নতুন মানুষ নয়, সম্পূর্ণ নতুন এক পরিবেশে, নতুন এক বাড়িতে জীবন শুরু করতে হয়। হয়তো পুরনো অনেক অভ্যাস তাঁর শ্বশুরবাড়িতে এসে বদলে ফেলতে হয়। চট করে মানিয়ে নিতে অনেকেরই অসুবিধা হয়। তা অনেক সময়ই ক্ষোভ তৈরি করে। সেই ক্ষোভ থেকেই দাম্পত্যে কলহ শুরু হয়। অনেক সময়ে বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কও আশানুরূপ হয় না। সেই থেকেই দূরত্ব তৈরি হতে থাকে দু’জনের মধ্যে। এমন চলতে থাকলে সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি এসে পড়া খুব একটা কঠিন হয় না।

Advertisement

তবে প্রেম করে বিয়ে করলে অনেকে ধরে নেন, রাস্তাটা একটু হলেও কম কঠিন হবে। দু’জনের মধ্যে ভাব-ভালবাসা-আস্থা-বিশ্বাস-ভরসা— সবই বেশি থাকবে। দুর্নিবার-মীনাক্ষির ক্ষেত্রেও হয়তো সকলে তেমনই আশা করেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে এমনটা না-ও হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পর পর দুর্নিবার এবং মীনাক্ষির সম্পর্ক এতই মধুর ছিল যে বাইরের লোকে ফোন করে তাঁদের সহজে পেতেন না। ফোন পর্যন্ত দেখতেন না তাঁরা। কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, অশান্তি এমন পর্যায় পৌঁছেছে যে বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন মীনাক্ষি!

সত্যিই কি দুর্নিবার অন্য সম্পর্কে জড়িয়েছেন? তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে শুনতে অবাস্তব লাগলেও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিয়ের প্রথম বছরটা খুবই সূক্ষ্ম। তা প্রেম করে বিয়েই হোক, বা দেখাশোনা করে। কারণ একসঙ্গে বাস করতে গেলে অনেক কিছু বদলে যায়। যে স্বভাবগুলো আগে হয়তো দারুণ লাগত, তা সারাক্ষণ ভাল না-ও লাগতে পারে। একসঙ্গে থাকা শুরু করলে একে-অপরের অনেক নতুন দিক আবিষ্কার করেন স্বামী-স্ত্রী। সেগুলো কারও ভাল না-ই লাগতে পারে। প্রেম করে বিয়ে করলে বিশেষত বহু জুটিই ‘সুখ এবং আনন্দ’এর আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা করেন ফেলেন। সেই ছবিটা যখন বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মেলে না, তখনই শুরু হয় অশান্তি। সেই অশান্তি মিটমাট করে এগিয়ে যাওয়ার মতো ধৈর্য সকলের না-ও থাকতে পারে। সেই দমবন্ধ করা পরিস্থিতি থেকে নিস্তার পাওয়ার জন্য পরকীয়ার দিকে ঝুঁকতে পারেন কেউ কেউ।

শুনতে অবাস্তব লাগলেও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বিয়ের প্রথম বছরটা খুবই সূক্ষ্ম। তা প্রেম করে বিয়েই হোক বা দেখাশোনা করে।

বিয়ের পর হঠাৎই ব্যক্তিগত পরিসরে আরেক জন নতুন মানুষ ঢুকে পড়েন। অনেকের সেটাকে স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মনে হতে পারে। ফলে খানিকটা জেদের বসেই বাড়ির বাইরে তাঁরা এত সম্পূর্ণ অন্য রকম জীবন খুঁজে নিতে চান। সেখান থেকেই চুপিসারে উঁকি মারে পরকীয়া!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement