কী হবে রানির কুকুরের? ছবি: সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ইংল্যান্ডের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, জীবদ্দশায় ৩০টিরও বেশি কুকুর পুষেছেন তিনি। মৃত্যুর আগে পাঁচটি কুকুর ছিল তাঁর। রানির মৃত্যুর পর কী হবে সেই কুকুরগুলির?
শোনা যায়, রানি নাকি এতই কুকুর ভালবাসতেন যে, নিজের মধুচন্দ্রিমাতেও নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের। বালমোরাল থেকে বাকিংহাম প্রাসাদ— সর্বক্ষণ তাঁর ছায়াসঙ্গীর মতো থাকত কুকুরগুলি। কোগি নামের একটি প্রজাতির কুকুর সবচেয়ে পছন্দ করতেন রানি। আয়তনে বেশি বড় না হলেও সাধারণত খুবই প্রভুভক্ত হয় এই কুকুরগুলি। শোনা যায়, রানির বাবা ষষ্ঠ জর্জ ছোটবেলায় এই প্রজাতির কুকুর উপহার দেন তাঁকে। সেই থেকেই শুরু রানির সারমেয়প্রীতি। ১৯৭০ সাল নাগাদ ডোরগি নামের আরেকটি প্রজাতির কুকুর পোষাও শুরু করেন তিনি।
তাঁর মৃত্যুর পর যাতে কুকুরগুলির কোনও অসুবিধা না হয়, তার ব্যবস্থা করে গিয়েছেন রানি নিজেই। ছবি: সংগৃহীত
মৃত্যুর সময় মিউরিক ও স্যান্ডি নামের দু'টি কোগি এবং ক্যান্ডি ও লিসজি নামের দুটি ডোরগি ছিল তাঁর। জানুয়ারি মাসে একটি স্প্যানিয়েল প্রজাতির কুকুরও আনা হয় রাজবাড়িতে। এত দিন রাজবাড়িতে কুকুরদের জন্য বরাদ্দ ছিল নিজস্ব ঘর। রাঁধুনিরা বিশেষ ভাবে রান্নাও করতেন সারমেয়দের জন্য। রানির মৃত্যুর পরেও সেই অবস্থা বদলানোর সম্ভাবনা নেই খুব একটা। তাঁর মৃত্যুর পর যাতে কুকুরগুলির কোনও অসুবিধা না হয়, তার ব্যবস্থা করে গিয়েছেন রানি নিজেই। সেই ব্যবস্থা ঠিক কী, তা স্পষ্ট না জানা গেলেও রাজপরিবারের দাক্ষিণ্যে যাতে কুকুরগুলিকে না থাকতে হয়, তেমনই বন্দোবস্ত করেছেন রানি, দাবি ব্রিটেনের একটি সংবাদসংস্থার।