Office Etiquette

সহকর্মীকে কোন পাঁচ কথা বললেই বিপদে পড়তে পারেন? কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ থাকতে অবশ্যই মেনে চলুন

সহকর্মী বন্ধু হয়ে উঠেছে মানেই ব্যক্তিগত জীবন তাঁর সামনে মেলে না ধরাই শ্রেয়। তাই কাজের জায়গায় কোন কথাটি বলবেন আর কোনটি নয়, তা আগে থেকে ভাবনাচিন্তা করে নেওয়াই জরুরি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪ ১১:১৬
Share:

সহকর্মীকে কোন পাঁচ কথা কখনওই বলবেন না? প্রতীকী ছবি।

পেশাগত জগৎ আর ব্যক্তিগত জীবন এক নয়। বাড়িতে যে ভাবে কথা বলেন, আচরণ করেন, কাজের জায়গায় সেই অভ্যাস একেবারেই সঠিক নয়। বিশেষ করে কাজের জায়গায় নিজের মনের কথা উজাড় করে বলতে শুরু করলেই বিপদে পড়তে পারেন। অফিসে আপনার আচরণ, কথাবার্তাতেও পেশাদারিত্বের ছাপ থাকা জরুরি। সহকর্মী বন্ধু হয়ে উঠেছে মানেই ব্যক্তিগত জীবন তাঁর সামনে মেলে না ধরাই শ্রেয়। তাই কাজের জায়গায় কোন কথাটি বলবেন আর কোনটি নয়, তা আগে থেকে ভাবনাচিন্তা করে নেওয়াই জরুরি।

Advertisement

সহকর্মীকে যে পাঁচ কথা কখনওই বলবেন না

১) আপনার আর্থিক অবস্থা

Advertisement

আপনার আর্থিক অবস্থা কেমন তা কখনওই সহকর্মীর সঙ্গে আলোচনা করবেন না। পরিবারের রোজগার কত, সংসার চালাতে কত খরচ হয় এই সব তথ্য সামনে আসতে না দেওয়াই ভাল। পাশাপাশি, বেতন নিয়ে কোনও রকম মন্তব্য না করাই উচিত। বেতন নিয়ে যদি আপনার অভিযোগও থাকে, তা হলেও তা সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না।

২) শরীরগতিক

আপনার শারীরিক অবস্থা, অসুখবিসুখ নিয়ে বেশি চর্চা না করাই ভাল। হতেই পারে আপনার কোনও ক্রনিক রোগ রয়েছে অথবা শারীরিক ভাবে কোনও দুর্বলতা রয়েছে, সে তথ্য পাঁচকান না করাই ভাল। সহকর্মী হয়তো শুনে দুঃখপ্রকাশ করবেন, কিন্তু আড়ালে সে নিয়ে হাস্যকৌতুকও হতে পারে। আর কর্তৃপক্ষের কানে গেলে তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন এমন শারীরিক অবস্থায় আপনি চাপ নিয়ে কাজ করতে সক্ষম নন।

রাজনীতি নিয়ে মতামত ও ধর্মীয় বিশ্বাস

আপনি যে ধর্মীয় মতেই বিশ্বাসী হোন না কেন, তা নিয়ে সহকর্মীদের মতামত না দেওয়াই ভাল। আপনার কোনও মন্তব্য অন্যকে আঘাত দিতেই পারে। সে নিয়ে অসন্তোষও তৈরি হতে পারে। একই রকম ভাবে আপনার রাজনৈতিক মতামত ও আদর্শও সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন না। অফিস পেশাদার জায়গা। সকলের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে, ব্যক্তিগত মতামত ও বিশ্বাস নিয়ে চর্চা না করাই শ্রেয়।

পরনিন্দা-পরচর্চা করলেই মুশকিল

কাজের জায়গায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা একসঙ্গে থাকলে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য হতেই পারে। সহকর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্য যা-ই হোক না কেন, তা নিয়ে অফিসে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা অপেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়। আর সে নিয়ে কখনওই আড়ালে সমালোচনা করতে যাবেন না। তা ছাড়া সহকর্মীদের সামনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে আলোচনা, বসের নামে অভিযোগ করতে থাকলে, তা আপনারই বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

চাকরি খোঁজার কথা

নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কখনওই সহকর্মীদের জানাবেন না। তাঁরা যতই ঘনিষ্ঠ হোন না কেন, কাজ নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী, তা নিজের মধ্যেই রাখুন। বিশেষ করে, যদি অন্য কোথাও চাকরি খোঁজার কথা ভাবেন, তা হলে সে পরিকল্পনার কথাও আড়ালেই রাখতে হবে। খোলাখুলি আলোচনা করলে, আপনার পরিকল্পনা কখন কর্তৃপক্ষের কাছেই ফাঁস হয়ে যাবে, তা বুঝতেও পারবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement