গুরুগ্রামের পালাম বিহার এক্সটেনশনের জৈল সিংহ কলোনির বাসিন্দারা কোমর বেঁধে তৈরি হচ্ছেন বিয়ের জন্য। ছবি: প্রতীকী
শতাধিক মানুষকে জানানো হয়েছে আমন্ত্রণ, বিয়ের কার্ডও বিতরণ করা হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু শুভদিনের অপেক্ষা। গায়ে হলুদ এবং সঙ্গীত-সহ ৩ দিনের অনুষ্ঠানে সব রীতি নীতি মেনেই বিয়ে হবে শেরু আর সুইটির। গুরুগ্রামের পালাম বিহার এক্সটেনশনের জৈল সিংহ কলোনির বাসিন্দারা কোমর বেঁধে তৈরি হচ্ছেন বিয়ের জন্য। শেরু ও সুইটি দু’জনেই সারমেয়।
সুইটি নামের কুকুরটির মালিক রাজা নামের এক চা বিক্রেতা। সংবাদমাধ্যমে রাজা জানিয়েছেন, তিনি এবং তার স্ত্রী রানি ৩ বছর আগে একটি কুকুর দত্তক নেন। রাজা নিয়মিত মন্দিরে গিয়ে রাস্তার পশুপাখিদের খাবার খাওয়াতেন। এক দিন, কুকুরটি তাঁকে অনুসরণ করে বাড়ি চলে আসে। তার পরই সেটিকে বাড়িতে রেখে দেন তিনি। নাম দেন ‘সুইটি’। রাজা বলেন, তার প্রতিবেশী রামসেবক নামের এক ব্যক্তির একটি পোষা কুকুর রয়েছে। নাম— শেরু। সম্প্রতি, তিনি ঠাট্টা করে বলেন, তাঁদের কুকুর দু’টির বিয়ে দিলে কেমন হয়?
তৈরি করা হয় বিয়ের কার্ডও, হোয়াটসঅ্যাপে সেই কার্ড পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে। —ফাইল চিত্র
যেমন ভাবা তেমন কাজ, বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেন দু’জনে। তৈরি করা হয় বিয়ের কার্ডও। হোয়াটসঅ্যাপে সেই কার্ড পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে। রানি জানিয়েছেন, তাঁর কোনও সন্তান নেই। এই কুকুরটিকেই নিজের সন্তানের মতো দেখেন তিনি। তাই টানাটানির সংসার হলেও ‘সুইটি’-র বিয়েতে কোনও কার্পণ্য করতে চান না তিনি। ডাকা হয়েছে পুরোহিত, কেনা হয়েছে বিয়ের উপহারও। তৈরি খাওয়াদাওয়ার জায়গাও। রবিবারই জুটি বাঁধছে দুই সারমেয়। সব মিলিয়ে সাজো সাজো রব জৈল সিংহ কলোনিতে।