শিশুর আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন? এর জন্য আপনি দায়ী নন তো?
খুদের সঙ্গে কথা বলার সময় কোন কথাগুলি বলবেন আর কোনগুলি বলবেন না, সেটা ভেবে দেখা দরকার। বাচ্চাদের মনস্তত্ত্বও কিন্তু বেশ জটিল। আপনার অসতর্ক হয়ে বলা কোনও কথাও কিন্তু ওর মনের মধ্যে বিরাট প্রভাব ফেলতে পারে। শিশুর চারপাশের পরিবেশ তার বেড়ে ওঠার উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। খুদের সঙ্গে কী কথা বলছেন, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনই তার সামনে অন্যের সঙ্গে কথা বলার সময়েও কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে।
আপনি হয়তো ভাবছেন, বাচ্চার সঙ্গে ঠিক আচরণই করছেন, কিন্তু অনবধানতাবশতই এমন কোনও প্রসঙ্গ নিয়ে ওকে বললেন, যার ফলে ওর মনে গভীর ক্ষত তৈরি হল। জেনে নিন কোন কথাগুলি শিশুদের ভুলেও বলা উচিত নয়।
১) কোনও দিদি-ভাই-বোন কিংবা বন্ধুর সঙ্গে কখনও বাচ্চার তুলনা করবেন না। এতে শিশুর মনে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। আপনার বাচ্চা যেমন, সেই নিজস্বতাকে স্বীকৃতি দিয়েই ওকে এগিয়ে যেতে দিন। তাদের পরীক্ষার ফল দেখে কখনও ভুলেও বলবেন না যে আরও ভাল হতে পারত!
২) কোনও কাজ ভুল করলে সেটা বাচ্চাকে বলুন। কিন্তু বাচ্চার মধ্যে সেই ভুলের অপরাধবোধ জমতে দেবেন না। এটি বাচ্চার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব গড়ে তুলতে পারে। কখনই তাদের বলবেন না ‘কোনও কাজই তুমি ঠিক করতে পারো না’!
প্রতীকী ছবি।
৩) বাচ্চার সঙ্গে একান্তে সময় কাটানো কিংবা তার সঙ্গে মন খুলে কথা বলারও সময় নেই আপনার হাতে? কঠোর হতে গিয়ে নিজের অনুভূতিগুলি বাচ্চার থেকে দূরে সরিয়ে রাখলে বাচ্চাও কিন্তু ভবিষ্যতে অনুভূতিশূন্যতার সমস্যায় ভুগবে। বাচ্চা তার মনের কথা বলতে চাইলে তাকে থামিয়ে না দিয়ে বলতে দিন।
৪) ছেলে ও মেয়ের মধ্যে তফাত করবেন না! দু’জনকেই একই চোখে দেখুন। ছেলেদেরকে যে সব কাজের জন্য স্বাধীনতা দিচ্ছেন, মেয়েদেরও তা থেকে বঞ্চিত করবেন না। ‘মেয়ে হয়ে এই কাজ তোমায় মানায় না’— এই প্রকার কোনও মন্তব্য শিশুর কাছে করবেন না।
৫) আপনি শিশুর জন্য কী কী করছেন তা ওকে জানতে না দিলেও চলবে। এই প্রকার কোনও মন্তব্য শিশুর মনের উপর বোঝা তৈরি করতে পারে।