পোষ্যের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের সমস্যা বেশি করে দেখা দেয়। ছবি: সংগৃহীত
অনেক শখ করে বাড়িতে একটি কুকুর ছানা এনেছেন। বাড়িতে থাকলে দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে প্রিয় পোষ্যের সঙ্গেই। পোষ্যের সঙ্গে খেলাধুলোর পাশাপাশি নজর দিতে হবে তার শরীর স্বাস্থ্যের দিকেও। বিশেষ করে যত্ন নিতে হবে দাঁতের। কথায় প্রকাশ করতে পারে না, তাই তার স্বাস্থ্যবিষয়ক সব রকম সুবিধা-অসুবিধা আপনাকেই বুঝে নিতে হবে। পোষ্যের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের সমস্যা বেশি করে দেখা দেয়। পশু চিকিৎসকদের মতে, তিন বছর বয়সি প্রায় ৪০ শতাংশ কুকুর দাঁতের সমস্যায় ভোগে। দাঁতের সমস্যা পোষ্যের খাওয়াদাওয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে। শুধু তাই নয় তাদের দাঁত থেকে তৈরি হওয়া সংক্রমণ হৃদ্যন্ত্র ও লিভারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কী কারণে পোষ্যের দাঁতের সমস্যা হতে পারে?
অনেকই আইসক্রিম, চিপস, মিষ্টি জাতীয় খাবার, চকোলেট নিজে খান এবং কিছুটা ভাগ পোষ্যকেও দেন। কুকুরদের দাঁত এবং মাড়ি খুবই স্পর্শকাতর। তাই এই ধরনের খাবার খেলে সহজেই দাঁতের ক্ষয় হয়। এ ছাড়াও বংশগত কারণে, দাঁতের গঠন বা শক্ত কোনও জিনিসে কামড় দেওয়ার ফলেও দাঁতের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। দীর্ঘ দিন ধরে দাঁতের সমস্যা রয়ে গেলে পোষ্যের মুখের ভিতরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাঁত পড়ে যাওয়া, মাড়িতে ঘা, চোয়াল বেঁকে যাওয়ার মতো মারাত্মক কিছু সমস্যা হতে পারে। তাই আগে থেকেই যত্ন নিন পোষ্যের দাঁতের।
দাঁতের সমস্যা পোষ্যের খাওয়াদাওয়াতেও প্রভাব ফেলতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
পোষ্যের দাঁতের সমস্যার পূর্ব লক্ষণ
১) দাঁতের বর্ণ হলুদ বা বাদামি হয়ে যাওয়া
২) পোষ্যর নিশ্বাসে দুর্গন্ধ
৩) দাঁতের মাড়ি থেকে রক্তপাত
৪) দুর্বল দাঁত
৫) বিরক্তি
৬) অত্যধিক মলত্যাগ
৭) ওজন হ্রাস পাওয়া
৮) দাঁতের এক পাশ দিয়ে চিবানো
৯) খাবার মুখের মধ্যেই রেখে দেওয়া
১০) খিদে কমে যাওয়া
কী ভাবে নেবেন পোষ্যের দাঁতের যত্ন?
দাঁতের সমস্যা এড়ানোর সর্বত্তম উপায় হল দাঁত পরিষ্কার রাখা। রোজ না হলেও সপ্তাহে অন্তত ৩ বার পোষ্যর দাঁত মাজানো জরুরি। দাঁতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পোষ্যর দাঁত উপযোগী বিভিন্ন জিনিস যেমন ডেন্টাল স্প্রে, ডেন্টাল ওয়াইপ ব্যবহার করুন। তবে দাঁতের কোনও সমস্যা দেখা দিলে অতি অবশ্যই অভিজ্ঞ পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।