সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো মহিলাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। —ফাইল চিত্র
২০১৫ সালে ব্রিটেনের একটি সমীক্ষায় দেখা যায় প্রতি ৫ জনে ১ জন ব্রিটিশ নাগরিক কখনও না কখনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। এ শুধু ব্রিটেনের ছবি নয়। বিভিন্ন সময়েই সমাজের নানা স্তরে এই ঘটনা দেখা যায়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পরকীয়া দেখা গেলেও লিঙ্গ ভেদে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রভাব পড়ে আলাদা আলাদা। অন্তত এমনটাই দাবি করা হল সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
নেদারল্যান্ডের টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রায় বারো বছর ধরে চালিয়েছেন এই গবেষণা। যত মানুষের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়, তার মধ্যে ছ’শো নয় জন নিজেরা কোনও না কোনও সময়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। আর তিনশো আটত্রিশ জনের সঙ্গী জড়িয়েছেন পরকীয়াতে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো মহিলাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। জীবন নিয়ে অনেক বেশি তৃপ্ত বোধ করেছেন তাঁরা। অন্যদি দিকেঠিক উল্টো ঘটনা ঘটেছে পুরুষদের ক্ষেত্রে। পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ার পর মানসিক টানাপড়েন বেড়েছে পুরুষদের।
অন্য মানুষের থেকে চাহিদা পূরণ হওয়ার ফলে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে নারীদের মনে। —ফাইল চিত্র
গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স নামের বিজ্ঞানপত্রিকায়। গবেষকরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সম্পর্কে অতৃপ্তির জায়গা থেকেই অন্য মানুষের দিকে ঝুঁকেছেন নারীরা। অন্য মানুষের থেকে সেই চাহিদা পূরণ হওয়ার ফলে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে নারীদের মনে। পুরুষদের ক্ষেত্রে বিষয়টিকে প্রতারণা হিসাবে দেখা হয়। তাই এতে বেড়ে যায় সম্পর্কের টানাপড়েন। বেড়ে যায় হীনম্মন্যতা ও মানসিক চাপ। তবে বিষয়টি খুবই ব্যক্তিসাপেক্ষ। তাই ব্যক্তি ভেদে এই সমীকরণও বিভিন্ন। কাজেই সবার ক্ষেত্রে বিষয়টি একই রকম না-ও হতে পারে, মত গবেষকদের।