— প্রতীকী চিত্র।
পছন্দ করে সঙ্গীর জন্যে একটি পোশাক কিনেছেন। কিন্তু ভয় পাচ্ছেন যে, এই পোশাকটি সঙ্গীর পছন্দ না-ও হতে পারে। আবার কাজ থেকে ফিরে কষ্ট করে হাত পুড়িয়ে রান্না করলেন। সঙ্গী মুখে দেওয়া মাত্রই বলে দিলেন, খেতে তেমন ভাল হয়নি। তিনি রান্না করলে আরও ভাল হতে পারত। খাওয়া, শোয়া, কোথাও যাওয়া— সব কিছু নিয়ে খুঁতখুঁত করতে থাকা সঙ্গীর মন বোঝা এককথায় অসম্ভব। তাঁর কথা মতো কাজ করেও প্রায় বেশির ভাগ সময়েই তাঁর মন পাওয়া যায় না। পছন্দের খাবার, বই, চকোলেট, উপহার— কোনও কিছু দিয়েই তাঁকে শান্ত করা যায় না। এক সময়ে নাস্তানাবুদ হয়ে প্রত্যুত্তর দিতে শুরু করেন। তখনই জটিলতা বাড়তে থাকে। এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে মাথায় রাখতে হবে কয়েকটি বিষয়।
১) শান্ত থাকুন
খুঁতখুতে মানুষদের সমস্যার সমাধান করতে গেলে আগে নিজেকে শান্ত থাকতে হবে। না হলে দু'জনেই কথা কাটাকাটির মধ্যে জড়িয়ে পড়তে পারেন। কোনও বিষয় নিয়ে সঙ্গী রেগে থাকলে সেই সময়ে কোনও রকম পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা না করাই ভাল।
২) পরিস্থিতির উপর নজর রাখুন
সঙ্গীর অদ্ভুত আচরণের পাল্টা উত্তর দিতে গেলে অনেক সময় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। তা যেন কোনও ভাবেই শারীরিক বা মানসিক নিগ্রহের পর্যায়ে চলে না যায়, তাই পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে হবে।
৩) বুঝতে চেষ্টা করুন
উল্টো দিকের মানুষটিকে বুঝতে সমস্যা হয় বলে সহজেই হাল ছেড়ে দেন অনেকে। তা না করে তিনি কী বলতে চাইছেন, তা বুঝতে চেষ্টা করুন। সেই মুহূর্তে উল্টো দিকের মানুষটিকে বাক্যবাণে বিদ্ধ করতে যাবেন না।
৪) সীমা বেঁধে দিন
সঙ্গীর এমন মনোভাবে কেউ যদি বারংবার আহত হন, এমন পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন, তা হলে আগে থেকেই তাঁকে সাবধান করে দিন। সেই সময় সঙ্গীর মুখের সামনে না থেকে অন্য কোথাও চলে যেতে পারেন।
৫) সময় দিন
সঙ্গীর নানা রকম বায়নাক্কা নিয়ে নিত্য দিন তর্কবিতর্ক হচ্ছে। দু’জনেরই দু’জনকে সময় দেওয়া প্রয়োজন। মনোবিদেরা বলছেন, কিছু ক্ষণ আলাদা থাকতে গেলেই বুঝতে পারবেন, সমস্যার শুরু কোথায়।