পোষ্য সারমেয়র আচরণ বদলাচ্ছে? কষ্টে নেই তো সে! ছবি: সংগৃহীত।
আদুরে ডাক কুঁইকুঁই, আর রেগে গেলে গর্রর! পোষ্য সারমেয়র এমন আচরণ ও ডাকের সঙ্গে কয়েক দিনেই পরিচিত হয়ে যান অভিভাবকরা। কিন্তু সব সময় কি সমস্ত ডাকের অর্থ বুঝতে পারেন সকলে?
ঠিক যেমন মনুষ্য-সন্তান। খুদের কান্নার কারণ দ্রুত ধরে ফেলেন মা, ঠিকই। কিন্তু সব সময়ই কি সঠিকটা বুঝতে পারেন? শিশুর ক্রমাগত কান্নায় মা’ও এক সময় ধন্দে পড়েন, কেন কাঁদছে সে? শরীরে কোনও কষ্ট হচ্ছে! না কি অন্য কিছু? আপনার পোষ্যের ক্ষেত্রেও তেমন কিছু হচ্ছে কি না বুঝবেন কী করে?
১. সারমেয়র আচরণে কোনও বদল হচ্ছে কি না সেটা অবশ্যই লক্ষ করা দরকার। অনেক সময় দেখা যায় পোষ্য চিৎকার করেই চলেছে। রেগে যাচ্ছে সে। অথচ তার এ ভাবে ডাকাডাকির কোনও কারণই নেই। একবার হলে বিষয়টা এক রকম, কিন্তু বার বার এমনটা হলে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
২. এমনিতে হয়তো লোকজন, খেলাধুলো দিব্যি পছন্দ করে আদরের পোষ্যটি। কিন্তু হঠাৎ দেখলেন সে শুয়ে রয়েছে দীর্ঘ ক্ষণ, খেলা বা দস্যিপনা আচমকা কমে গিয়েছে। আপনাকে দেখলেও আর দৌড়ে আসছে না। তখন কিন্তু বুঝতে হবে সমস্ত কিছু ঠিক না’ও থাকতে পারে।
৩. আদরের সারমেয়টির বসা বা হাঁটাচলায় কোনও বদল হচ্ছে কি না দেখতে হবে। হয়তো আদর করতে গেলেন, সে সরে গেল বা ককিয়ে উঠল। তখন বুঝতে হবে, শরীরে কোথাও ব্যথা আছে। কোনও পা আলতো করে রেখে বসছে কি না বা হাঁটাচলা লক্ষ করেও বোঝা সম্ভব, পোষ্যের মধ্যে সমস্যা রয়েছে কি না।
৪. আচমকা খিঁচুনি শুরু হলে বা কাঁপতে থাকলে শীতের দিনে বিষয়টি ঠান্ডা ভেবে উড়িয়ে না দেওয়াই ভাল। একাধিক কারণে পোষ্যের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সে রকম দেখলে দ্রুত তাকে পশু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
৫. পোষ্য অসুস্থ হলে তার খাওয়া, ঘুমের রুটিনও বদলে যাবে। এমনটা টানা হতে থাকলে সতর্ক হতে হবে।