প্রাণঘাতী আক্রমণের বহু আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের সঙ্কেত দেয় কুকুর। —ফাইল চিত্র
সম্প্রতি দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পোষ্য কুকুরের আক্রমণের ঘটনা শোনা গিয়েছে। বিশেষ করে রটউইলার, পিটবুলের মতো কুকুর নিয়ে সাবধান হতে বলছেন অনেকেই। প্রশিক্ষকরা বলছেন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রাণঘাতী আক্রমণের বহু আগে থেকেই বিভিন্ন ধরনের সঙ্কেত দেয় কুকুর। কিন্তু সাধের পোষ্য এতই আদরের পাত্র যে তা উপেক্ষা করেন মানুষ। কোন কোন লক্ষণ দেখে হতে হবে সতর্ক?
১। অত্যধিক জোরে কোলে উঠতে চাওয়া, গায়ে উঠে আসা কিংবা আগ্রাসী আচরণ দেখানো।
২। খেলার সময় মালিক বা অন্য কুকুরদের হয়রান করা।
৩। আশপাশের মানুষ পছন্দ না করলেও তাঁদের দিকে ধেয়ে যাওয়া। বাড়িতে অন্য কুকুর থাকলে তাঁদের খাবার কেড়ে খাওয়া, খেলনা নিয়ে নেওয়া।
৪। হঠাৎ করে বাড়ির লোক কিংবা অন্য কুকুরদের কামড়ে দেওয়া ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া।
৫। অন্য কুকুরের পিঠে উঠে পড়া।
৬। শরীরী ভাষা বদলে যাওয়া। গায়ের লোম খাঁড়া হয়ে যাওয়া, লেজ টানটান হয়ে যাওয়া, দেহের পেশি শক্ত করে রাখা, মুখে অনবরত গরগর শব্দ করা।
৭। নিজের জায়গায় মানুষ বা অন্য কোনও কোনও কুকুর ঢুকে পড়লে তাঁকে আক্রমণ করা।
কুকুর পোষার সময় মাথায় রাখতে হবে কিছু জরুরি বিষয় —ফাইল চিত্র
কী ভাবে সামলবেন?
প্রশিক্ষকরা বলছেন, যে ভাবে কুকুরের আক্রমণের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তাতে আগে থাকতেই সতর্ক হতে হবে। ছোট থাকতেই কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিন। ভাল ব্যবহার করলে খাবার দিয়ে পুরস্কৃত করুন। প্রয়োজনে গলায় দড়ি পরিয়ে রাখুন। কিছু দিন অন্য কুকুরের থেকে দূরেও রাখতে পারেন। তাতেও যদি সমস্যা না মেটে, তবে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।