যে দম্পতির কাছে শিশুসন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদেরও গ্রেফতার করেছে রাশিয়ার পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
নিজের নাক ‘নিখুঁত’ করার জন্য অস্ত্রোপচারের খরচ জোগাড়ে পাঁচ দিনের সন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠল রাশিয়ার এক যুবতীর বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে সম্প্রতি ওই যুবতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি, যে দম্পতির কাছে শিশুসন্তানকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদেরও গ্রেফতার করেছে রাশিয়ার পুলিশ।
মে মাসের শেষ দিকের এই ঘটনাটি সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসতেই নেটমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ৩৩ বছরের ওই যুবতীর নাম-পরিচয় অবশ্য প্রকাশ করেনি রাশিয়ার পুলিশ। তাদের দাবি, ‘খুঁতহীন’ নাক পেতে ৩,৫৮১ ডলার দিয়ে অস্ত্রোপচার করাতে চেয়েছিলেন ওই তরুণী। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ২,৮৬,১৬৩ টাকা। ওই অর্থের জন্যই তাঁর সন্তানকে স্থানীয় এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন যুবতীটি। শিশুপাচারের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ২৫ এপ্রিল কাসপিয়স্ক শহরের একটি হাসপাতালে প্রসব করেন ওই যুবতী। এর পর স্থানীয় এক দম্পতির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, ওই দম্পতির কাছে সদ্যোজাতকে ৩,২০০ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ২,৫৫,৯৫৮ টাকা) বিক্রি করতে রাজি হয়ে যান তিনি। দম্পতিকে শিশুর জন্মের শংসাপত্র তুলে দিয়ে তার যাবতীয় অধিকার ছেড়ে দেন তিনি। সে সময় কিছু অর্থ পেয়েছিলেন তিনি। সম্পাহখানেকের মধ্যে গত ২৬ মে বাকি টাকাও হাতে পেয়ে যান যুবতী।
গোটা ঘটনাটি গোপন সূত্রে জানার পর যুবতীকে পাকড়াও করে রাশিয়ার পুলিশ। সেই সঙ্গে, আইনত দত্তক নেওয়া ওই দম্পতিকেও গ্রেফতার করেছে তারা।
টাকা দিয়ে শিশু কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই দম্পতি। গ্রেফতারির পর তাঁদের দাবি, শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়ার জন্যই নাকে অস্ত্রোপচার করাতে চেয়েছিলেন ওই যুবতী। সে কারণেই ওই যুবতীকে অর্থ দিয়েছেন তাঁরা।
ঘটনার পর নানা ডামাডোলে প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গিয়েছে। তবে ওই শিশুটির দেখভাল কারা করছে, তা জানা যায়নি।