ঝগড়া হলে কী ভাবে আলিয়াকে সামলান রণবীর? ছবি: সংগৃহীত।
পরিবার পরিজন ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছিমছাম ভাবেই বিয়ে সেরেছিলেন রণবীর কপূর ও আলিয়া ভট্ট। প্রায় ৫ বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০২২ এর ১৪ এপ্রিল কপূর বাড়িতেই বসেছিল তাঁদের বিয়ের আসর। ওই বছরেই নভেম্বর মাসে কপূর পরিবারে আসে নতুন সদস্য, আলিয়া-রণবীরের মেয়ে রাহা। বলিউডের অন্যতম চর্চিত জুটি রণবীর-আলিয়া। কখনও রণবীরকে দেখা যায় স্ত্রী আলিয়ার সঙ্গে ‘লং ড্রাইভে’ বেরিয়ে পড়তে কখনও আবার কন্যা রাহাকে নিয়ে জন্মদিনের পার্টিতে খোশমেজাজে ধরা পড়েন তিনি। সব সময়ই পরিবারকে নিয়ে ব্যস্ত রণবীর। তাঁর অনুরাগীরা মাঝেমাঝেই তাঁকে প্রশ্ন করেন, কী ভাবে সব সময় এত শান্ত থাকেন অভিনেতা? তা হলে কি তাঁর কখনওই আলিয়ার সঙ্গে ঝগড়া হয় না?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর স্বীকার করেছেন অন্যান্য দম্পতির মতো তাঁর ও আলিয়ার মধ্যেও ঝগ়ড়া হয়। ঝগ়়ড়া হলে কী ভাবে আলিয়াকে সামলান অভিনেতা? রণবীর বলেন, ‘‘সম্পর্কে আমি কখনও অহংবোধ নিয়ে চলি না, ঝগড়ার সময়েও না। তবে আলিয়া কিন্তু সহজে হার মানতে রাজি হয় না।’’
রণবীর-আলিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
করিনা কপূরের একটি শোয়ে হাজির ছিলেন রণবীর। সেখানেই পরিবার গোপন কথা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। রণবীর বলেন, ‘‘ঝগড়া হলে আমি একটু একলা থাকতে পছন্দ করি। তবে আলিয়া ঠিক উকিলের মতো আচরণ করে। আলিয়া যদি মনে করে ও ভুল কিছু করেছে, তা হলেও ও নিজের যুক্তিগুলি সামনে রাখার চেষ্টা করে যাবে। আর আমি ঠিক উল্টো, সম্পর্কের বিষয় আমি খুব উদার। আমার ভুল থাকুক বা না-ই থাকুক, আমি নিজের ভুলটা স্বীকার করে নিই। তবে ঝগড়া হলে আমি একটু একা নিজের মতো থাকতেই পছন্দ করি।’’
রণবীরের মতে সম্পর্কে এক জনের শান্ত থাকা ভীষণ দরকার। রণবীর বলেন, ‘‘ঝগড়ার সময় অনেকে না বুঝেই সঙ্গীকে এমন কথা বলে বসেন, যা আদৌ তাঁরা বলতে চান না। অন্য দিকে সঙ্গীরা কিন্তু সেই কথাগুলিকেই ধরে বসে থাকেন। সম্পর্কের অবনতি শুরু হয় সেখান থেকেই।’’