গরমে পোষ্যের যত্নে যেন কোনও ত্রুটি না থাকে। ছবি: সংগৃহীত।
অসহনীয় গরমে অস্বস্তির পারদ ক্রমশ চড়ছে। কোনও কিছুতেই স্বস্তি মিলছে না। এই গরমে নাজেহাল পোষ্যরাও। চারপায়ে বাড়িময় ছুটে বেড়াত যে পোষ্য, গরমে সে-ই কেমন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। ছোটাছুটি নেই, গলা ছেড়ে চিৎকার নেই। একরাশ ক্লান্তি গায়ে মেখে সারা ক্ষণ ঝিমিয়ে আছে। অত্যধিক গরমে তাদেরও অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই নিজের খেয়াল রাখার পাশাপাশি, পোষ্যেরও যত্ন নিতে হবে। পোষ্যকে প্রাণের চেয়েও ভালবাসেন অনেকে। যত্নে কোনও ত্রুটি রাখেন না। তবু সতর্ক থাকতে তো দোষ নেই। গরমে পোষ্যের যত্নআত্তিতে কোন ভুলগুলি করবেন না?
জলীয় খাবার না খাওয়ানো
যা গরম পড়েছে, তাতে শুধু জল খেয়ে শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা সম্ভব নয়। পাশাপাশি জলসমৃদ্ধ খাবারও বেশি করে খাওয়াতে হবে পোষ্যকে। তা হলে ভারসাম্য বজায় থাকবে। জলের পরিমাণ বেশি, এমন খাবার খেলে পোষ্যের গ্যাসের সমস্যাও হবে না।
ভুল সময়ে হাঁটাতে নিয়ে যাওয়া
দুপুরের পর পোষ্যকে অনেকেই হাঁটাতে নিয়ে যান। তবে এই গরমে পোষ্যকে নিয়ে বেরোনোর সময়ে বদল আনতে হবে। রোদের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার আগেই হাঁটাতে নিয়ে যেতে পারেন। অথবা সন্ধ্যার পর নিয়ে যান। সকাল ১০টা থেকে ৬টার মধ্যে পোষ্যকে নিয়ে বাইরে না বেরোনোই শ্রেয়।
চোখে চোখে না রাখা
বাড়িতে থাকলেও পোষ্যকে নজরে রাখুন। জলের কাছে একা ছেড়ে দেবেন না। রান্নাঘরের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে বারণ করুন। গরমে পোষ্যেরা ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। অনেক সময় না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়ছে। সে দিকে খেয়াল রাখুন। দীর্ঘ ক্ষণ উপোস করে থাকলে আবার অন্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পর্যাপ্ত জল না খাওয়ানো
গরমে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই পোষ্যকে বারে বারে জল খাওয়ান। পোষ্যের সামনে জল ভরা পাত্র রেখে দিন। তা হলে নিজেই খেয়ে নিতে পারবে। পাত্র খালি হয়ে যাওয়া মাত্রেই জল ভরে দিন।
পোষ্যের ত্বকের যত্ন না নেওয়া
পোষ্যকে রোদে বার করবেন না একেবারেই। কোনও দরকারে যদি পোষ্যকে নিয়ে রোদে বেরোতেই হয়, সে ক্ষেত্রে বাড়তি সুরক্ষা নেওয়া জরুরি। শরীর ঠান্ডা থাকবে ভেবে অনেকেই পোষ্যকে ঘন ঘন স্নান করান। সেটাও পোষ্যের ত্বকের জন্য ভাল নয়। পোষ্যের শরীরে র্যাশ, ঘামাচি দেখা দিলে অতি অবশ্যই পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।