সোমবার দুপুরে খাওয়ার সময় লাউ রান্না করা নিয়ে তাঁর বচসা শুরু হয় মায়ের সঙ্গে।
লাউ খেতে অনীহা, এ কথা জানা সত্ত্বেও লাউয়ের তরকারি রেঁধেছিলেন মা। তাতেই রেগে গিয়ে মাকে মারধর শুরু করেন লুধিয়ানার অশোক নগরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তার পর রাগের মাথায় মাকে ঠেলে ফেলে দেন দোতলা থেকে। মৃত্যু হয় মহিলার। এমনই অভিযোগে আটক হলেন সুরিন্দর সিংহ নামের ২৬ বছর বয়সি এক যুবক। মৃতার নাম চরণজিৎ কৌর।
মৃতার বাড়ির লোকের অভিযোগ, সোমবার দুপুরে খাওয়ার সময় লাউ রান্না করা নিয়ে তাঁর বচসা শুরু হয় মায়ের সঙ্গে। অন্য কিছু রান্না করতে বলেন সুরিন্দর। তাতে রাজি না হওয়ায় উত্তেজিত হয়ে লাঠি নিয়ে সুরিন্দর চড়াও হন মায়ের উপর। মারধর শুরু করেন। ছেলেকে বাধা দিতে যান বাবা গুরনাম সিংহ। অভিযোগ, তাঁকেও রেয়াত করেননি সুরিন্দর। ছেলের মার থেকে বাঁচতে দোতলায় আশ্রয় নেন ৬৫ বছর বয়সি বৃদ্ধা। কিন্তু সেখানে ছুটে গিয়ে ফের মারধর শুরু করেন সুরিন্দর, তার পর দোতলা থেকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দেন মাকে।
গুরুতর আহত অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বৃদ্ধাকে। মঙ্গলবার সেখানেই মারা যান তিনি। প্রতিবেশীদের দাবি, সুরিন্দর বরাবরই বদরাগী। মেজাজের কারণে সম্প্রতি চাকরিও চলে যায় তাঁর। সেই থেকেই তিনি বেকার। কিছু দিন আগে সুরিন্দরের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। তার পর গভীর মানসিক অবসাদে ডুবে যান সুরিন্দর। ঘটনার তদন্ত করছে সালেম তাবরি থানা। সুরিন্দরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কথা বলা হচ্ছে আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সঙ্গেও।