বিয়ের আসল উদ্দেশ্য কী? প্রতীকী ছবি
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া মানে কেবল শারীরিক চাহিদা পূরণ করা নয়, বরং বিয়ের আসল উদ্দেশ্য সন্তান উৎপাদন করা। আলাদা থাকা এক দম্পতির সন্তান কার হেফাজতে থাকবে? তা নিয়ে চলা একটি মামলার রায়দানের সময় এ কথা জানান বিচারপতি কৃষ্ণণ রামাস্বামী।
এক মহিলা আইনজীবী সম্প্রতি আদালতে অভিযোগ করেন, তিনি ও তাঁর স্বামী বর্তমানে আলাদা থাকেন। তাঁর দুই সন্তান থাকে স্বামীর কাছেই। কিন্তু আলাদা থাকার পর থেকে সন্তানদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দিচ্ছেন না তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ২০০৯ সালে বিয়ে হয় ওই দম্পতির। ২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন তাঁরা। শ্বশুরবাড়ির উল্টো দিকেই একটি আলাদা ফ্ল্যাটে থাকেন ওই মহিলা। শুধু দেখা করতে না দেওয়াই নয়, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা দুই সন্তানের কাছে তাঁর নামে কুকথা বলেন বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা।
বিচারপতি জানান, বিয়ের আসল উদ্দেশ্য সন্তান উৎপাদন করা। প্রতীকী ছবি
সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি জানান, যাঁরা বিয়ে করছেন তাঁদের এ কথা মাথায় রাখা উচিত যে বিয়ে নিছক শারীরিক সুখের বিষয় নয়, বিয়ের আসল উদ্দেশ্য সন্তান উৎপাদন করা। আপাতত দুই সন্তান মায়ের কাছে থাকবে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর বক্তব্য, কোনও এক অভিভাবকের থেকে সন্তানকে দূরে সরিয়ে রাখা এক ধরনের নৃশংসতা।