নিজের জীবনের কাহিনি নিয়ে অকপট হয়েছেন প্রৌঢ়া। প্রতীকী ছবি।
স্বামী মারা গিয়েছেন মাস ছয়েক আগে। আকস্মিক এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ভেঙে পড়েছিলেন স্ত্রী। কিন্তু মৃত স্বামীর বন্ধুর মধ্যে তাঁর ভালবাসার মানুষটির ছায়া খুঁজে পেয়েছেন সিডনির বাসিন্দা ৫৪ বছর বয়সি জো ম্যাথিউস। তাই জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন তিনি। নতুন সম্পর্ক নিয়ে কম সমালোচনা শুনতে হয়নি ম্যাথিউসকে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে নিজের জীবনের কাহিনি নিয়ে অকপট হয়েছেন প্রৌঢ়া।
২০০৪ সালে কিথ ম্যাথিউসকে বিয়ে করেন জ়োয়ি। দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেছিলেন দু’জনে। দারুণ কাটছিল দাম্পত্য সম্পর্ক। বিয়ের ১২ বছর পর কিথের অন্ত্রের ক্যানসার ধরা পড়ে। এমন আকস্মিক দুর্যোগ কী ভাবে সামলাবেন, বুঝতে পারছিলেন না জ়োয়ি। প্রেম করে বিয়ে করায় দুই পরিবারের কাউকেই পাশে পাননি। অথৈ জলে পড়েছিলেন তিনি। সেই সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কিথের বন্ধু স্টিফেন। হাসপাতালে ভর্তি করা থেকে অস্ত্রোপচারের টাকা জোগাড় করা, সবেতেই জ়োয়ির পাশে ছিলেন স্টিফেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, কিথ চিকিৎসায় দারুণ সাড়া দিচ্ছেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। চিকিৎসকদের কথায় আশার আলো দেখেছিলেন জ়োয়ি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
কিথের মৃত্যুর পর একা হয়ে গিয়েছিলেন জ়োয়ি। তাঁরা নিঃসন্তান ছিলেন। ফলে আঁকড়ে ধরে বাঁচার মতো কেউ ছিল না। তবে কিথের চিকিৎসার সময় স্টিফেন যে ভাবে সাহায্য করেন, স্বামীর মৃত্যুর পরেও জ়োয়ি সে ভাবেই পাশে পেয়েছিলেন স্টিফেনকে। ধীরে ধীরে একটা বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে দু’জনের।
স্টিফেন বিয়ে করেননি। ফলে তাঁর জীবনে কোনও পিছুটান নেই। তাই তিনিই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দেন। জ়োয়ি রাজি হয়ে যান। কিথের মৃত্যুর পর থেকে স্টিফেন যে ভাবে তাঁর যত্ন নিয়েছেন, তাতে অনেক সময় জ়োয়ির মনে হয়েছে, যেন কিথ তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। তাই স্টিফেনের প্রস্তাব পেয়ে তিনি আর অমত করেননি। নতুন জীবন শুরু করা নিয়ে কটাক্ষ কম শুনতে হয়নি তাঁকে। তবে সে সবে বিশেষ পাত্তা দেননি তিনি।
জ়োয়ির কথায়, ‘‘আমি জানি কোনও ভুল করছি না। স্টিফেনের মধ্যে আমি কিথের ছায়া দেখতে পাই। কিথ চাইত, আমি খুশি থাকি। আপাতত প্রস্তুতি নিচ্ছি জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসের।’’