বিয়ে করলেও সমাজ যাতে তাঁদের সম্পর্ককে মেনে নেয়, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন দুই কন্যা! ছবি: ইউটিউব।
ইউটিউব জগতে বেশ পরিচিত মুখ পায়েল আর যশভিকা। সমাজের চোখরাঙানিকে উপেক্ষা করে বিয়ে করেছিলেন দুই ইউটিউবার। বিয়ে করলেও সমাজ যাতে তাঁদের সম্পর্ককে মেনে নেয়, সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন দুই কন্যা!
২০১৭ সালে নেটমাধ্যমে আলাপ হয় দু’জনের, তার পর শুরু হয় চ্যাটিং, ফোনে কথা বলা। বেশ কিছু দিন পর ভিডিয়ো কলে আলাপ। পায়েলকে দেখে আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করেননি যশভিকা। পায়েলের প্রেমে পড়ে তাঁকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসেন তিনি। তবে যশভিকার প্রস্তাব প্রথমে ভাল চোখে দেখেননি পায়েল। রাগ করে চলে আসেন তিনি। তার পর থেকেই যশভিকাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন পায়েল। মেসেজের উত্তর দিতেন না, ফোনও ধরতেন না। তাঁর এই আচরণে বেজায় ক্ষেপে যান যশভিকা। তিনি পায়েলকে বলেন, "হয় আমার সঙ্গে কথা বলো, নইলে আমায় ব্লক করো!" যশভিকাকে ব্লক করে দেন পায়েল।
ছ’মাস পরে পায়েলের হঠাৎ মনে হয়, যশভিকার সঙ্গে তিনি সঠিক আচরণ করেননি। পায়েল নিজে থেকেই যোগাযোগ করেন যশভিকার সঙ্গে। দেখাও করেন দু’জনে। ২০১৮ সাল থেকেই প্রেম শুরু হয় তাঁদের।
পায়েল কাজ করতেন লুধিয়ানায় আর যশভিকা কাজ করতেন নৈনিতালে। প্রতি মাসে দেখা করতে একে অপরের শহরে যেতেন। এ ভাবে চলে প্রায় দু'বছর। কিন্তু ২০২০ সালে লকডাউনের সময় তাঁরা একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। এই সময়ে তাঁরা নিজেদের সম্পর্কের ব্যাপারে পরিবারকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। পায়েলের বাড়ি থেকে মেনে নিলেও যশভিকার বাড়ির লোক মোটেই রাজি হননি। কিন্তু তিনিও নাছোড়বান্দা। বাড়িতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে, তিনি পায়েল ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করবেন না। অবশেষে অক্টোবর মাসে বিয়ে করেন দু’জনে।
সমকামী দম্পতি তাঁদের জীবনের নানা মুহূর্ত তুলে ধরেন ইউটিউব চ্যানেলে। হিন্দু মতেই বিয়ে হয় দু’জনের। তবে এখনও সমকামী বিয়ে ভারতে আইনি স্বীকৃতি পায়নি। সমাজ তাঁদের ভালবাসার দাম দেবে, তাঁদের বিয়ের স্বীকৃতি দেবে, এমনই আশা তাঁদের।