মেয়ের প্রশ্নের জবাব দিতে না পেরে অসহায় মা। ছবি: সংগৃহীত।
চাকরিটা আর নেই। অন্য কর্মীদের সঙ্গে তাঁকেও ছাঁটাই করেছে গুগল। কিন্তু এত কিছু বছর পাঁচেকের মেয়ের বোঝার কথা নয়। মা কেন অফিস যাচ্ছে না, সেই প্রশ্ন সর্ব ক্ষণ লেগে রয়েছে তার মুখে। একে চাকরি হারানোর শোক, তার উপর মেয়েকে কী জবাব দেবেন বুঝতে না পেরে অসহায় বোধ করছেন গুরুগ্রামের বাসিন্দা গুগলের প্রাক্তন কর্মী আকৃতি ওয়ালিয়া। তিনি গুগলের ‘ক্লাউড প্রোগ্রাম ম্যানেজার’ হিসাবে কাজ করতেন।
যে ভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে তাঁকে, তা অত্যন্ত অপমানজনক বলে মনে করেন আকৃতি। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা লিঙ্কডিনে জানিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি গুগলের কর্মী হিসাবে পাঁচ বছর পূর্ণ হয়। ঠিক তার পরের দিনই ছাঁটাইয়ের মেল আসে তাঁর কাছে। ওই দিন অফিসের একটি মিটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময়েই বরখাস্ত করা হয় আকৃতিকে।
ছাঁটাই হওয়ার পর থেকে বাড়িতেই রয়েছেন আকৃতি। চাকরির চেষ্টা করলে হয়তো পেয়েও যেতেন। কিন্তু মনের অবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তাই কিছু দিন বিশ্রাম নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু মেয়ের প্রশ্নে জেরবার অবস্থা। শরীর খারাপ কিংবা অন্য কোনও কারণ ছাড়া মাকে কাছেই পেত না ছোট্ট মেয়েটি। অফিস থেকে ফিরেও কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন মা। অথচ বেশ কিছু দিন হয়ে গেল, মা বাড়িতেই রয়েছেন। তার সঙ্গেই খেলাধুলো করছেন। কাজ তো দূর, অফিস যাওয়ার নামগন্ধ নেই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন জাগছে মেয়ের মনে। চাকরিটা যে আর নেই, তা মেয়েকে কী ভাবে বোঝাবেন বুঝতে পারছেন না আকৃতি। আকৃতির কথায়, ‘এ যেন এক নতুন লড়াই’।