বেশি বয়সি সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক টেকানোর টোটকা দিলেন করিনা। ছবি: সংগৃহীত।
দু’জনেই বলিউডের দুই আলাদা নক্ষত্র, করিনা কপূর খান এবং সইফ আলি খান। পথ চলছেন একসঙ্গে। ২০১২ সালে বিয়ে করেন সইফ-করিনা। দু’জনের বয়সের ফারাক বিস্তর, প্রায় ১০ বছর। তাঁদের দাম্পত্যের বয়স প্রায় ১৪ বছর। যদিও সইফের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। অমৃতা সিংহের সঙ্গে বিয়ে ভাঙার পর বেশ কয়েক জনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান অভিনেতা। তার পর ‘তাশান’ ছবি করতে গিয়ে করিনার সঙ্গে শুরু হয় প্রেম।
মাঝে প্রায় পাঁচ বছরের একত্রবাস। তার পর বিয়ে। তবে বয়সে ১০ বছরের বড় সইফের সঙ্গে সম্পর্কে তৈরির সময় কোনও রকম সমস্যা হয়নি অভিনেত্রীর? এই প্রশ্ন আসে অনেকের মনেই। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেন, ‘‘বয়স আমাদের সম্পর্কে কখনওই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। সইফের ব্যক্তিত্ব ভীষণ আকর্ষণ করেছিল আমায়। এত সুদর্শন পুরুষ আমি আগে দেখিনি। এখনও ওকে দেখে কেউ বলবে না ওর বয়স ৫৩ বছর। আমার মনে হয় না সম্পর্কে বয়স নিয়ে কোনও রকম সমস্যা হয়। আপনারা একে অপরকে কতটা সম্মান করছেন, কতটা ভালবাসছেন, একে অপরের সঙ্গে কতটা মজা করছেন, সেটাই সবচেয়ে জরুরি বিষয়।’’
সইফ এবং করিনার দুই সন্তান জেহ্ এবং তৈমুর। ২০১৬ সালে জন্ম হয় তৈমুরের। এর পর ২০২১ সালে জন্ম হয় তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান জেহ্ ওরফে জাহাঙ্গিরের। করিনা এবং সইফ দু’জনেই অভিনয় জগতের মানুষ। ছবির শুটিং না থাকলেও সারা বছর নানা রকম ব্যস্ততা থাকে। তবু তার মাঝে সময় করে শরীরচর্চা, কেনাকাটা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো— সব দিক বজায় রাখেন করিনা। তার মধ্যে থেকে সময় করে প্রায়ই বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতেও যান। বিয়ের এত বছর পরও কিন্তু তাঁদের দাম্পত্যের সমীকরণ অটুট। করিনা বলেন, ‘‘সইফ আর আমি একে অপরকে ভালবাসি, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটাতে ভীষণ পছন্দ করি। বয়স সংখ্যামাত্র, ও আমার থেকে কতটা বড় কিংবা আমি ওর থেকে কতটা ছোট, সেই সব নিয়ে আমরা কোনও দিন কথাও বলিনি।’’