ছোট্ট কাঁধে সহজ দায়িত্ব। ছবি- সংগৃহীত
বয়ঃসন্ধির মুখে দাঁড়িয়েও অনেকেই তাঁদের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজটুকুর জন্য মা-বাবার উপর ভরসা করে। এ দিকে, একমাত্র সন্তান হওয়ার আহ্লাদে অভিভাবকরাও সব সময়ে তাদের জন্য তটস্থ হয়ে থাকেন। তাদের কুটো নেড়ে দুটো করতে দেন না। মুখের সামনে জলের গ্লাস এগিয়ে দেওয়া থেকে জামা কাপড় পরিয়ে দেওয়া, সব কিছুই তাঁরা নিজে হাতে করিয়ে দিতে চান। কিন্তু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভালবাসাই কিন্তু আপনার সন্তানকে দায়িত্ব নেওয়ার মানসিকতা থেকে ক্রমশ দূরে নিয়ে যায়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিটি শিশুর মানসিক এবং শারীরিক ভাবে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাভাবিক এই নিয়মের সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট দায়িত্ব নিতে না শেখালে বড় হয়ে দায়িত্ব পিছপা হবে। তাই ছোট থেকেই তাকে দায়িত্ব নিতে শেখাতে হবে।
অভিভাবক হিসাবে আপনি যা শেখাবেন, শিশুরা তা-ই শিখবে। ছবি- সংগৃহীত
বকে বা ভয় দেখিয়ে নয়, ছোট থেকে বুঝিয়ে দায়িত্ব নিতে শেখান।
১) পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে শেখান
কোনও ঘটনার অভিমুখ বুঝে কথা শেখান। তার নেওয়া প্রতিটি সিদ্ধান্তের ফলাফল কী হতে পারে, আগে থেকে তার আন্দাজ করে নিয়েই কাজে নামতে শেখান। শুধু পড়াশোনায় ভাল ফল করলেই যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে তেমনটা কিন্তু নয়। বরং যে পরিবেশে সে বেড়ে উঠছে, সেখান থেকে উদাহরণ নিয়ে শিখতে পারলে তার অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার পূর্ণ হয়ে উঠবে।
২) আগে শোনা, তার পর ভাবা
অন্যের কথা শুনে, তার পর সেই বিষয়ে ভাবতে শেখান। ভাল শ্রোতা না হলে ঘটনার ভাল-মন্দ বিচার করার ক্ষমতা একোবারেই তৈরি হবে না।
৩) হেসেই কাজ হাসিল করা যায়
চিৎকার না করে মিষ্টি মুখেও অনেক অসম্ভব কাজ সহজেই করে ফেলা যায়। চিৎকার করে হয়তো আপনার সন্তান অন্যের নজর ঘোরাতে পারবে, কিন্তু তার সম্পর্কে ধারণা সঠিক না-ও হতে পারে।
৪) অন্য ভাবে ভাবতে শেখান
অভিভাবক হিসাবে আপনি যা শেখাবেন, শিশুরা তা-ই শিখবে। যে ধরনের কথা বললে ঝগড়া বা বিবাদের সূত্রপাত হতে পারে, সেই ধরনের কথা না বলে ওই একই কথা অন্যভাবে বলা যায় কি না, ভেবে দেখতে শেখান।
৫) ছোট ছোট দায়িত্ব ভাগ করে নিন
সন্তান সব সময়েই মা-বাবার কাছে আদরের। তাই বলে তার সব কাজ নিজে হাতে করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। রুটিন দেখে নিজের স্কুলের ব্যাগ গোছানো, নিজের কাজ দায়িত্ব নিয়ে করা, বাড়িতে গাছ থাকলে নিয়মিত জল দেওয়া— এই ধরনের ছোট ছোট কাজের দায়িত্ব নিতে অভ্যাস করান।