পোষা পাখির যত্ন নিতে কী কী করবেন জেনে নিন। ছবি: ফ্রিপিক।
খাঁচার পাখিরা খুব সংবেদনশীল হয়। তাদের ঠিকমতো যত্ন করার প্রয়োজন। খাঁচায় বন্দি অবস্থায় তাদের মন ভাল রাখাও দরকার। পশু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, পোষা পাখির খাওয়াদাওয়ায় বিশেষ খেয়াল রাখতে হয়। আবার তাদের সঙ্গ দেওয়াও খুব জরুরি। জেনে নিন কী কী করতে হবে।
১) পাখি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, পোষা পাখিকে খাঁচাতেই রাখছেন আপনি। তাই পাখির আকার, বয়স বুঝে খাঁচা কিনতে হবে। অতিরিক্ত রোদ, বৃষ্টি বা বেশি হাওয়া বইছে যেখানে, সেখানে পাখির খাঁচা রাখা যাবে না।
২) অন্ধকার, স্যাঁতসেঁতে জায়গায় খাঁচা না রেখে, আলো-বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় খাঁচা রাখা উচিত। খাঁচা সপ্তাহে একদিন ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে।
৩) বারান্দায় খাঁচা রাখলে তিন পাশে স্বচ্ছ প্লাস্টিকের দেওয়াল তৈরি করে দিতে পারেন যাতে বেশি রোদ বা বৃষ্টির জল পাখির গায়ে না লাগে।
৪) ফুটিয়ে ঠান্ডা করা জলই দিতে হবে পাখিকে। খাঁচায় যে পাত্র রাখছেন তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন। প্রতি দিন জল বদলে দিতে হবে। জলে কোনও নোংরা পড়ছে কি না খেয়াল রাখবেন।
৫) পাখির স্নানের জন্য আলাদা জল দিতে হবে। পাখিরা স্নান করতে খুব ভালবাসে, বিশেষ করে গরম কালে। সেই জলও বদলে দিতে হবে। সব সময় পরিষ্কার জল রাখবেন।
৬) আপনি কেমন পাখি পুষছেন সেই অনুযায়ী তার ডায়েট ঠিক করতে হবে। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই পোষ্যকে খাবার দিন। যেসব খাবার পাখির খাদ্যতালিকায় নেই, তা খাওয়াবেন না। এতে পাখির সমস্যা হবে। আর খাবারের গুণগত মানও যেন ঠিক থাকে, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। পাখিকে শস্যদানার মিশ্রণ, যেমন গম, ভুট্টা, ধান, তিল, তিসি, বাদাম, সূর্যমুখী বীজ দেওয়া যেতে পারে। পাখিকে পাকা পেঁপে, কলা, আপেলের টুকরা, জাম, লিচু ইত্যাদিও দেওয়া যেতে পারে।
৭) পাখির স্বভাব নয় খাঁচায় থাকা। তাই খাঁচার ভিতরেই এমন ব্যবস্থা করুন যাতে পাখির শারীরিক কসরত কিছুটা হয়। খাঁচার ভেতর ছোট মই, দোলনা, প্লাস্টিকের বল রাখতে পারেন। পাখিরা এ সব নিয়ে খেলাধূলা করলে ওদের মন ও শরীর দুই-ই ভাল থাকবে।
৮) পাখিদেরও মন খারাপ হয়। বিষণ্ণ পাখি কিছু খায় না, অসুস্থ হয়ে যায়। সময় পেলে তাদের সঙ্গে খেলতে হবে। সঙ্গ দিতে হবে।
৯) ম্যাকাও প্রজাতির পাখির জন্য বিশেষ প্রতিষেধক থাকে। আপনার পোষা পাখিকে কোনও রকম টিকা দিতে হবে কি না, সেটা পশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। পাখি পুষলে তাকে কী কী খাওয়াবেন, কী ভাবে যত্ন নিতে হবে তা পশু চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।