ভারতের পরিবেশে এই ধরনের প্রজাতির কুকুর পোষা খুবই কঠিন ছবি: সংগৃহীত
হাস্কি ও মালমুট প্রজাতির কুকুর সারমেয়প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। হাস্কির উৎপত্তি সাইবেরিয়ায় আর মালমুট মূলত আলাস্কার। তীব্র ঠান্ডায় বেঁচে থাকার জন্য এই ধরনের কুকুর বিশেষ ভাবে অভিযোজিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতপ্রধান অঞ্চলে উৎপত্তির কারণেই এই কুকুরগুলির আয়তন এত বিশাল ও লোম এত বড়। ফলে ভারতের পরিবেশে এই ধরনের প্রজাতির কুকুর পোষা খুবই কঠিন। বিশেষত গ্রীষ্মকালে এই কুকুরগুলির অতিরিক্ত যত্নের প্রয়োজন। হাস্কির তুলনায় আলাস্কান মালমুটের গরম সহ্য করার ক্ষমতা আরও কম। তাই মালমুট প্রজাতির কুকুর ভারতীয় পরিবেশে না পালন করাই ভাল।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
হাস্কি ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উষ্ণতায় থাকতে পারে না। সাধারণত ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম উষ্ণতাই এই ধরনের কুকুরের জন্য আদর্শ। ৩০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় এই প্রজাতির কুকুরের হিটস্ট্রোক ও জলশূন্যতায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার ঝুঁকি খুব বেড়ে যায়।
গরমকালে কী ভাবে যত্নে রাখবেন নিজের পোষ্যকে?
১। গরম কালে এই ধরনের কুকুর বাড়ির ভিতরে ছায়ায় রাখতে হবে। রোদে বার করা চলবে না একেবারেই। প্রয়োজনে জানলায় লাগাতে হবে পর্দা।
২। ঘরের তাপমাত্রা যেন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম থাকে। যদি বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা থাকে, তবে সেই ঘরেই রাখতে হবে পোষ্যকে।
৩। পোষ্যকে বিশুদ্ধ ও ঠান্ডা জল খাওয়াতে হবে নিয়মিত। জল দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রয়োজনে বাড়ির বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক পাত্রে জল রেখে দিতে হবে। এতে কুকুরের জল খাওয়ার প্রবণতা বাড়বে।
৪। এই সময় হাস্কির গায়ের লোম ছাঁটা যাবে না। শরীরের লোম বড় থাকলে গরম বেশি লাগবে, এই ধারণা ঠিক নয়। বরং এই লোমই হাস্কির দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
৫। দুপুরের দিকে খেলাধুলো না করানোই ভাল। অনেক সময় মেঝে তেতে ওঠে গরমে, এর ফলে পুড়ে যেতে পারে পোষ্যের পায়ের তলা। গরমে ছোটাছুটি করলে দেখা দিতে পারে হৃদ্যন্ত্রের সমস্যাও।
৬। পোষ্যের শুয়ে থাকার জায়গাটিতে যেন হওয়া চলাচলের যথেষ্ট সুযোগ থাকে। পাশাপাশি, গরমের দিনে ভেজা তোয়ালের উপরে শুতে দিতে পারেন পোষ্যকে। বদ্ধ জায়গায় বা ঘরের কোনায় রাখবেন না এই ধরনের কুকুর।
৭। ভাল করে স্নান করাতে হবে নিয়মিত। প্রয়োজনে দিনে একাধিক বার স্নান করানো যেতে পারে। স্নানের জলে মিশিয়ে দিতে পারেন বরফের টুকরোও।