উৎসবের আবহে পোষ্যকে ভাল রাখতে কোনটা করবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
শহর জুড়ে উৎসবের আবহ। পুজো-পার্বণ মানেই হইচই, আনন্দ। যে সব বা়ড়িতে পোষ্য থাকে, সেই সমস্ত পরিবারের লোকজন আনন্দে তাদেরও শামিল করতে চান। কিন্তু মানুষের যে নিয়মকানুন, তার সব কিছু কিন্তু পোষ্যদের জন্য খাটে না। আওয়াজ, হইচই, লোকজন, খাওয়া-দাওয়ায় তাদের কিছু সমস্যাও হতে পারে। উৎসবের মরসুমে কী ভাবে তাদের সামলে রাখবেন?
গৃহসজ্জা
পুজোর মরসুমে বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করে নতুন করে অন্দরসজ্জা করেন অনেকেই। বাড়িতে পুজো থাকলে, অনেকেই ফুল ও রকমারি জিনিস দিয়ে ঘর সাজান। তবে বাড়িতে সারমেয় বা বিড়াল বা অন্য কোনও পোষ্য থাকলে, খুব ছোটখাটো জিনিস, ধারালো বা ভঙ্গুর কোনও কিছু ঘর সাজানোয় ব্যবহার না করাই ভাল। কারণ, তাদের কাছে সেগুলি খেলার সামগ্রী মনে হতে পারে। আচমকা চিবিয়ে ফেললে বা খেলতে গিয়ে গলায় চলে গেলে বিপদ হতে পারে। পশুচিকিৎসক বলছেন, ‘‘অন্দরসজ্জায় পোষ্যের নাগালে এমন জিনিস ব্যবহার করুন, যা তাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। পরিবর্তে, কাপড় বা কাগজের জিনিস দিয়ে ঘর সাজানো যেতে পারে।’’
খাবার
উৎসবে জমিয়ে রান্না হবে, সেটাই স্বাভাবিক। বাড়ির লোকজন যখন একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছেন, তখন জুলজুল করে তাকিয়ে থাকা সারমেয় বা বিড়ালকে দেখে অনেকেই পাত থেকে কিছু খাবার খেতে দেন। চকোলেট, আঙুর, কিছু বাদাম, মশলাদার যে কোনও খাবার পোষ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এ ক্ষেত্রে বিরত থাকা প্রয়োজন। বরং পোষ্যের জন্যেই বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
পোশাক
পোষ্যেরা ধীরে ধীরে বাড়ির সদস্যই হয়ে ওঠে। তাই আনন্দ-অনুষ্ঠানে তাদের জন্যেও পোশাক কেনা হয়। পশু চিকিৎসকের পরামর্শ, পোষ্যের পোশাক যেন আরামদায়ক হয়। খুব বেশি চেপে বসলে তাদের কষ্ট হতে পারে।
নিরাপদ স্থান
উৎসবের আবহে জোরে গান বাজালে, হইচইয়ে কিংবা বাজি ফাটালে পোষ্যেরা ভয় পেতে পারে। এতে তাদের অসুবিধাও হয়। তাই বাড়ির মধ্যে এমন স্থানে তাদের রাখার ব্যবস্থা করুন, যেখানে তারা ভাল থাকবে। শব্দ কম যাবে। সেখানেই তার বিছানা, খেলনা রেখে দিন। পানীয় জলের ব্যবস্থাও রাখুন।
সময়
দিনভর কাজের চাপে পোষ্যকে সময় দেওয়া হয় না। ছুটির দিনগুলোতে তাদের বাড়তি সময় দিলে, তারাও ভাল থাকবে।