বাবা হওয়ার জন্য মানসিক প্রস্তুতি কী রকম হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
পিতৃত্ব বড় দায়িত্ব। নতুন জীবনের আগমন পরিবারে আনন্দ এবং উচ্ছ্বাস নিয়ে আসে। তবে এক জন হবু বাবার জন্য, এটি জীবনের একটি বড় পদক্ষেপ, যা নিয়ে আসে অনেক পরিবর্তন এবং তার জন্য দরকার মানসিক প্রস্তুতির সময়ও।
পিতৃত্ব সম্পর্কে জানা প্রয়োজন: পিতৃত্ব সম্পর্কে বই এবং নিবন্ধ পড়লে উপকার হতে পারে। বন্ধুবান্ধবের মধ্যে যাঁরা সদ্য বাবা হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলা লাভদায়ক হতে পারে। নিজের অনুভূতি, অভিজ্ঞতা, উদ্বেগ তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে নিলে মানসিক চাপ কম অনুভব হবে। উপযুক্ত পরামর্শও পাওয়া যেতে পারে।
সঙ্গীর সঙ্গে অনুভূতি ভাগ করে নিতে হবে: অন্তঃসত্ত্বাকালীন সম্পূর্ণ সময়ে সঙ্গীর সঙ্গে সমস্ত অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া প্রয়োজন, তাঁকে সঙ্গ দেওয়া প্রয়োজন। এই সময়ের প্রতিটি পর্যায়ে ভাল ভাবে যুক্ত থাকলে, তা মানসিক প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করবে এবং এই সম্পূর্ণ সময়টিকে অনেক সহজ ও সহনশীল করে তুলবে।
সঙ্গীর সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে। ছবি: ফ্রিপিক
জীবন যে বদলাতে চলেছে, এটি মেনে নেওয়া প্রয়োজন: সন্তানের জন্ম, তাঁকে বড় করা এক অনেক বড় দায়িত্ব। জীবন যে বদলাতে চলেছে, এটি মেনে নেওয়া খুবই প্রয়োজন। দৈনন্দিন অনেক বিষয়ে যে অনেক বদল আসবে এবং অনেক কিছুই মানিয়ে নিতে হবে এই বোধ থাকা খুবই প্রয়োজন।
নিজের ছোটবেলার কথা ভেবে দেখা যেতে পারে: শিশুকালে আপনার বাবা বা জীবনে পিতৃসম যে মানুষেরা ছিলেন, তাঁদের কথা ভেবে দেখা যেতে পারে। এতে কিছুটা দিক নির্দেশ পাওয়া যেতে পারে।
অর্থনৈতিক পরিকল্পনা: সন্তান জন্ম এবং পালনের একটি খুব বড় দিক অর্থনৈতিক প্রস্তুতি। শিশুর জন্মের পর অতিরিক্ত খরচের জন্য প্রস্তুত থাকা প্রয়োজন। অর্থনৈতিক ভাবে প্রস্তুত থাকলে একটি বড় দিক দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকা যায়।
পিতৃত্ব সহজ নয়। এটি একটি অনন্য অভিজ্ঞতা হতে পারে। তার জন্য যত প্রস্তুত থাকা যায়, ততই অভিজ্ঞতাটি সুন্দর হয়ে উঠবে।