লন্ডনের কোনও একটি রেস্তরাঁয় (বাঁদিক থেকে) জাহ্নবী কপূরের সঙ্গে সোনম কপূর। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ছেলে বায়ুর জন্মের পর অভিনয় জগত থেকে ছুটি নিয়েছেন সোনম কপূর। তবে বিজ্ঞাপন বা প্রচারমূলক কাজে তাঁকে দেখা যায় মাঝেমধ্যেই। ছেলেকে বড় করে তোলার পাশাপাশি পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘুরতেও যান প্রায়শই। নানা রকম কাজ, ব্যস্ততা, পরিবার ব্যক্তিগত জীবন সামলে মাঝেমধ্যেই তাঁকে এবং তাঁর বোন রিয়া কপূরকে দেখা যায় লন্ডনের রাস্তায়। তবে শুধু সোনম এবং রিয়াই নন, ভাই-বোনের এমন মধুর সম্পর্কের উদাহরণ বলিউডে আরও আছে। অভিনেতা সইফ আলি খান এবং সোহা আলি খান, বোন সাবা এবং তাঁদের বৃহত্তর পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরতে যান মাঝেমধ্যেই। সপ্তাহান্তে মালাইকা অরোরা এবং অমৃতা অরোরাকেও দেখা যায় সময় কাটাতে। পিছিয়ে নেই করিনা এবং করিশ্মাও। কেনাকাটা বা নিছক ‘উইন্ডো শপিং’, সেখানেও একসঙ্গে যেতে দেখা যায় তাঁদের।
বড় হয়ে ভাই-বোন বা দিদি-বোনের সম্পর্ক কেমন হবে, তা অনেকটাই নির্ভর করে তাঁদের বড় হয়ে ওঠার উপর। সুন্দর মনের মানুষ হয়ে ওঠার পিছনে পরিবেশ যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তেমনই কিছু দায়িত্ব থাকে অভিভাবকদেরও। মা-বাবার পর সবচেয়ে কাছের সম্পর্ক, ভাই-বোনেদের। একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কের ভিত মজবুত করতে ছোট থেকে সন্তানদের কেমন শিক্ষা দেবেন?
১) প্রায় সমবয়সি সন্তানদের একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠার স্মৃতি মধুর হয়। সে দিকে নজর দিতে হবে। অল্প বয়সে ঝগড়া, মারামারি, খুনসুটি তো থাকবেই। তবে তা যেন ক্ষণস্থায়ী হয়।
২) সব কিছু ভাগ করে নিতে শেখান। খাবার, পোশাক, গল্প, সুখ, দুঃখ, অভিমান, এমনকি ভাল স্মৃতি— সব ভাগ করে নিলে একে অপরের প্রতি নির্ভরশীলতা বাড়ে। বয়সে বড় সন্তানের দায়িত্ববোধ তৈরি হয় ছোটজনের প্রতি।
৩) দুই সন্তানের মধ্যে কখনও কোনও বিষয় নিয়ে তুলনা করতে যাবেন না। অল্প বয়সে তাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটে না। তাই দুই সন্তানের মধ্যে রেষারেষি জন্ম নিতে পারে। সন্তান প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠতে পারে।