বৃষ্টির দিনে একলা ঘরে বিরক্ত হচ্ছে শিশু, কী ভাবে তাকে সঙ্গ দেবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
নিম্নচাপের জেরে অঝোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ঘরে আটকা পড়ে হাঁসফাঁস করছে খুদেরাও। কী করবে বুঝতে না পেরে বাড়িতেই চলছে দুরন্তপনা। মোবাইল দিলে খুদে শান্ত হবে ঠিকই, কিন্তু সেটা কোনও সমাধান নয়। এমন সময় ওদের একঘেয়েমি দূর করতে সন্তানকে নিয়েই খেলা করতে পারেন। আর কী ভাবে শান্ত রাখবেন খুদেকে?
আঁকার সরঞ্জাম
কাজ না থাকলে, কেউ তার দিকে মনোযোগ না দিলে খুদে তো দৌরাত্ম্য করবেই। সহজ উপায় হল তাকে রং পেনসিল, আঁকার খাতা দিয়ে বসিয়ে দেওয়া। রং করতে বেশির ভাগ শিশুই বেশ ভালবাসে। কিছুটা সময় এ ভাবেই কেটে যেতে পারে। আর যদি অভিভাবকদের হাতে সময় থাকে, তাঁকে কাগজের নৌকো, ফুল বানানো শেখাতে পারেন। জলে নৌকো ভাসানোর ছেলেবেলার দিনগুলি ছেলে-মেয়ের মাধ্যমে আবার ফিরিয়ে আনা যেতে পারে।
কাজ
খুদেকে ছোটখাটো কাজের দায়িত্ব দিলে সে কিন্তু খুশি মনে করবে। সেটা হতে পারে রান্নাঘরের কোনও জিনিস হাতের কাছে এগিয়ে দেওয়া, কিংবা ঘর গুছোনোর সময় কুশন, বালিশ এগিয়ে দিতে বলা। আবার তার উপযোগী কোনও অন্য কাজেও তাকে ব্যস্ত রাখা যায়। যেমন স্যান্ডউইচের জিনিসপত্র তার হাতে দিয়ে তাকে পাউরুটির উপর একে একে সমস্ত উপকরণ দিতে বলা যেতে পারে।
ঘর
শিশুদের খেলার জন্য রকমারি তাঁবু পাওয়া যায়। যদি তা না-ও থাকে, শাড়ি দিয়ে ঘরের মধ্যে একটি ছোট ঘর বানিয়ে দেওয়া যায়। এমন একটি ঘরকে তার খেলনা, চাদর, বিছানা দিয়ে সাজিয়ে দিলে, খুদে তা নিয়ে দিব্যি ব্যস্ত হয়ে পড়বে।
খুঁজে বার করার খেলা
ঘরের মধ্যে খুদেকে ব্যস্ত রাখার পাশাপাশি তার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এমন নতুন নতুন খেলাতেও তাকে ব্যস্ত রাখা যেতে পারে। বাড়ির আনাচকানাচে তারই বিভিন্ন জিনিস লুকিয়ে, একে একে খুঁজে আনতে বলা যায়। এতে তার দৌড়াদৌড়িও হবে, আবার খুঁজতে গিয়ে মাথাও খাটাতে হবে। একঘেয়ে খেলায় সে বিরক্ত হবে না।
লুডো, দাবা, ক্যারাম
লুডোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে শৈশবের হরেক স্মৃতি। এখনকার শিশুরা অনেকেই সেই আনন্দ থেকে বঞ্চিত। ঘরে শিশুদের জন্য এই ধরনের খেলার ব্যবস্থা করলে আর তাকে একটু সঙ্গ দিলেই, খুদে কিন্তু এ নিয়ে মেতে থাকতে পারে।বৃষ্টির দিন হোক বা ছুটির দিন, বাড়িতে তার দুরন্তপনা কমানোর এটি বেশ ভাল উপায়।
গল্প বলা
বহু বাড়িতেই শিশুরা এখন আর ঠাকুমা, দাদুর সঙ্গ পায় না। তাকে যদি বিভিন্ন রকম গল্প শোনানো যায়, তাতে তার জানার আগ্রহ বাড়বে। আবার গল্পের মাধ্যমেই কিন্তু ভাল-খারাপ, ঠিক-ভুল অনেক কিছুই শেখানো যাবে।